ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ক্ষেতলালে হত্যার রহস্য উন্মোচন

হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার-২

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুই (০২) জনকে গ্রেপ্তার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ২জন হচ্ছে, ক্ষেতলাল পৌর সদরের বকশীপাড়া গ্রামের জফের মন্ডলের ছেলে মোরশেদুল (২০) এবং একই গ্রামের মৃত জাহেম উদ্দীনের ছেলে হেলাল (৩২)।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট ভোররাতে উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপির বালকা পাথার (মাঠ) এর ধানক্ষেত থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার মসন্দাইল গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা , গত ২৮ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার গোলাম মওলার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডের পরদিন শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত খুজে বের করতে যৌথভাবে অভিযান চালায় ক্ষেতলাল থানা ও জয়পুরহাট ডিবি পুলিশ। এতে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ওই ঘটনার রাতেই তদন্ত চালিয়ে বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহমূলকভাবে বকশিপাড়া গ্রামের জফের মন্ডলের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম ( ২০ ) কে আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী একই গ্রামের মৃত জাহেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে হেলাল (৩২) কে গ্রেপ্তার করেন ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। পরে জয়পুরহাট আদালতে তারা দুইজনই হত্যার দ্বায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ক্ষেতলাল থানা
অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আমরা হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত খোঁজে বের করতে জয়পুরহাট ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় অনুসন্ধানে মাঠে নামি এবং ওই রাতেই বকশিপাড়া গ্রামের মোরশেদুলকে জড়িত সন্দেহে নিজ বাড়ী হতে আটক করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম মওলার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী একই গ্রামের হেলাল ( ৩২) কে গ্রেপ্তার করি। আরোও জানান, আসামীরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তার পিছু নেয় এবং তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আসামীদের জয়পুরহাট আদালতে নেওয়া হলে তারা ১৬৪ ধারায় হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ক্ষেতলালে হত্যার রহস্য উন্মোচন

হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার-২

আপডেট টাইম : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুই (০২) জনকে গ্রেপ্তার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ২জন হচ্ছে, ক্ষেতলাল পৌর সদরের বকশীপাড়া গ্রামের জফের মন্ডলের ছেলে মোরশেদুল (২০) এবং একই গ্রামের মৃত জাহেম উদ্দীনের ছেলে হেলাল (৩২)।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট ভোররাতে উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপির বালকা পাথার (মাঠ) এর ধানক্ষেত থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার মসন্দাইল গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা , গত ২৮ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার গোলাম মওলার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডের পরদিন শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত খুজে বের করতে যৌথভাবে অভিযান চালায় ক্ষেতলাল থানা ও জয়পুরহাট ডিবি পুলিশ। এতে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ওই ঘটনার রাতেই তদন্ত চালিয়ে বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহমূলকভাবে বকশিপাড়া গ্রামের জফের মন্ডলের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম ( ২০ ) কে আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী একই গ্রামের মৃত জাহেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে হেলাল (৩২) কে গ্রেপ্তার করেন ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। পরে জয়পুরহাট আদালতে তারা দুইজনই হত্যার দ্বায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ক্ষেতলাল থানা
অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আমরা হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত খোঁজে বের করতে জয়পুরহাট ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় অনুসন্ধানে মাঠে নামি এবং ওই রাতেই বকশিপাড়া গ্রামের মোরশেদুলকে জড়িত সন্দেহে নিজ বাড়ী হতে আটক করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম মওলার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী একই গ্রামের হেলাল ( ৩২) কে গ্রেপ্তার করি। আরোও জানান, আসামীরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তার পিছু নেয় এবং তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আসামীদের জয়পুরহাট আদালতে নেওয়া হলে তারা ১৬৪ ধারায় হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।