ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর Logo বিভাগের দাবিতে উত্তাল নোয়াখালী Logo তানোরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে গভীর নলকুপ অপারেটরের আবেদন Logo মাধবদীতে হুমায়ুন কবির নামে এক জনকে গুলি করে হত্যা Logo প্রত্যেকটা বাড়িতে গিয়ে তারেক জিয়ার ৩১ দফার দাওয়াত পৌছে দিতে হবে Logo মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হেলাল হাফিজ Logo পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo কালুখালী কলেজ প্রভাষক রাজ্জাকের জানাজা সম্পন্ন Logo খোকসায় প্রগতি সংঘের উদ্যোগে দরিদ্র তাঁতিদের মাঝে বিনামূল্যে তাঁত শিল্প উপকরন বিতরণ Logo মালাই চা বিক্রি করে শামীম সাবলম্বী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাশরাফি-পাইলটদের সঙ্গে সাবেক সতীর্থ রোকন

একটা সময় আলো থেকে অন্ধকারের পথে পা বাড়ালেও বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ধরা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকেই। সন্দেহ নেই ব্যাটিং স্বত্তায় দেশের অন্য সবার চেয়ে এগিয়েই থাকবেন আশরাফুল। এ তালিকায় উঠে আসে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীমের নামও।

তবে তার আগে দেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পূর্ববর্তী সময় নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে (মিনহাজুল আবেদিন নান্নুদের পরপর) দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ধরা হতো আল শাহরিয়ার রোকনকে।

এটি দেখে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা হয়তো ভ্রু কুচকে উঠবেন। ভাববেন এ রোকন আবার কে? কখনো তো সেঞ্চুরি বা রেকর্ডে নাম দেখলাম না। সে আবার কেমন ক্রিকেটার?- এমন ধারণা করা অমূলক নয়। কেননা রোকনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিসংখ্যান খুব বেশি ভালো নয়।

টেস্টে ২৩ গড়ে ৬৮৩ রান, ওয়ানডে ১৪ গড়ে ৩৭৪ রান। বর্তমান সময়ের হিসেবে যা খুবই সাদামাটা। তবে সত্যের পেছনের সত্য হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমনভাবে নিজেকে চেনাতে না পারলেও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে পরিণত এবং ‘কমপ্লিট’ ব্যাটসম্যানই ধরা হতো তাকে।

কেননা একজন ব্যাটসম্যানের যেসব শটস থাকা দরকার, তার সবই খেলতে পারতেন রোকন। অবলীল ড্রাইভ, কাট, পুল কিংবা ফ্লিক খেলতেন। সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন ফ্লিক করতে। এই ফ্লিক খেলতে গিয়েই ক্যারিয়ারের অনেক সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটেছে তার।

বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্টের একাদশেও ছিলেন রোকন। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। পরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন বর্তমান নিউজিল্যান্ডে স্থায়ী হওয়া রোকন। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তারা তিনজনই ছিলেন টিম বাংলাদেশের নিয়মিত সদস্য।

বেশ কয়েকবছর আগেই তিনি চলে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। বসবাস করেন নেপিয়ার শহর থেকে খানিকদূরে একটি কান্ট্রিসাইডে। দেশ থেকে চলে গেলেও ছাড়তে পারেন না দেশের টান। তাই যখনই বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড সফরে যায় ছায়াসঙ্গী হিসেবে সেখানে থাকেন রোকনও।

যার ব্যতিক্রম ঘটলো না এবারও। তিনটি করে ওয়ানডে-টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল বর্তমানে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ডে। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে নেপিয়ারে, রোকনের বাসস্থানের খুব কাছে।

তাই সময় নষ্ট না করে এরই মধ্যে নিজের সাবেক দুই সতীর্থ খালেদ মাসুদ পাইলট এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে দেখা করেছেন রোকন। যেখানে ছিলেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। গতকাল (রোববার) রাতে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছেন তামিম, মাশরাফিরা। আগেই সেখানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও ম্যানেজার পাইলট।

নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে স্থানীয় কোনো বিষয়ে শলা-পরামর্শের প্রয়োজন পড়লে রোকনের দ্বারস্থই হন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ২০১৬-১৭ মৌসুমেও জাতীয় দলের সঙ্গে সফরের প্রায় পুরোটা সময় ছিলেন তিনি। এবারও সিরিজ শুরুর আগেই হাজির হয়েছেন মাশরাফি-তামিমদের সহযোগিতা করতে।

গতবারের সফরে সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন রোকন। আশা করা হচ্ছে এবারও জাতীয় দলকে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর

error: Content is protected !!

মাশরাফি-পাইলটদের সঙ্গে সাবেক সতীর্থ রোকন

আপডেট টাইম : ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক : :

একটা সময় আলো থেকে অন্ধকারের পথে পা বাড়ালেও বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ধরা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকেই। সন্দেহ নেই ব্যাটিং স্বত্তায় দেশের অন্য সবার চেয়ে এগিয়েই থাকবেন আশরাফুল। এ তালিকায় উঠে আসে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীমের নামও।

তবে তার আগে দেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পূর্ববর্তী সময় নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে (মিনহাজুল আবেদিন নান্নুদের পরপর) দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ধরা হতো আল শাহরিয়ার রোকনকে।

এটি দেখে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা হয়তো ভ্রু কুচকে উঠবেন। ভাববেন এ রোকন আবার কে? কখনো তো সেঞ্চুরি বা রেকর্ডে নাম দেখলাম না। সে আবার কেমন ক্রিকেটার?- এমন ধারণা করা অমূলক নয়। কেননা রোকনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিসংখ্যান খুব বেশি ভালো নয়।

টেস্টে ২৩ গড়ে ৬৮৩ রান, ওয়ানডে ১৪ গড়ে ৩৭৪ রান। বর্তমান সময়ের হিসেবে যা খুবই সাদামাটা। তবে সত্যের পেছনের সত্য হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমনভাবে নিজেকে চেনাতে না পারলেও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে পরিণত এবং ‘কমপ্লিট’ ব্যাটসম্যানই ধরা হতো তাকে।

কেননা একজন ব্যাটসম্যানের যেসব শটস থাকা দরকার, তার সবই খেলতে পারতেন রোকন। অবলীল ড্রাইভ, কাট, পুল কিংবা ফ্লিক খেলতেন। সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন ফ্লিক করতে। এই ফ্লিক খেলতে গিয়েই ক্যারিয়ারের অনেক সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটেছে তার।

বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্টের একাদশেও ছিলেন রোকন। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। পরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন বর্তমান নিউজিল্যান্ডে স্থায়ী হওয়া রোকন। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তারা তিনজনই ছিলেন টিম বাংলাদেশের নিয়মিত সদস্য।

বেশ কয়েকবছর আগেই তিনি চলে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। বসবাস করেন নেপিয়ার শহর থেকে খানিকদূরে একটি কান্ট্রিসাইডে। দেশ থেকে চলে গেলেও ছাড়তে পারেন না দেশের টান। তাই যখনই বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড সফরে যায় ছায়াসঙ্গী হিসেবে সেখানে থাকেন রোকনও।

যার ব্যতিক্রম ঘটলো না এবারও। তিনটি করে ওয়ানডে-টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল বর্তমানে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ডে। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে নেপিয়ারে, রোকনের বাসস্থানের খুব কাছে।

তাই সময় নষ্ট না করে এরই মধ্যে নিজের সাবেক দুই সতীর্থ খালেদ মাসুদ পাইলট এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে দেখা করেছেন রোকন। যেখানে ছিলেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। গতকাল (রোববার) রাতে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছেন তামিম, মাশরাফিরা। আগেই সেখানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও ম্যানেজার পাইলট।

নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে স্থানীয় কোনো বিষয়ে শলা-পরামর্শের প্রয়োজন পড়লে রোকনের দ্বারস্থই হন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ২০১৬-১৭ মৌসুমেও জাতীয় দলের সঙ্গে সফরের প্রায় পুরোটা সময় ছিলেন তিনি। এবারও সিরিজ শুরুর আগেই হাজির হয়েছেন মাশরাফি-তামিমদের সহযোগিতা করতে।

গতবারের সফরে সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন রোকন। আশা করা হচ্ছে এবারও জাতীয় দলকে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার।


প্রিন্ট