ঢাকা , বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হরিপুরে সীমান্তে ১১ জনকে পুশইন Logo নির্যাতিত জেল জুলুমের শিকার কর্মীদের নতুন কমিটিতে অগ্রাধিকার দিতে হবেঃ – খন্দকার নাসিরুল ইসলাম Logo ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরাই অগ্রাধিকার পাবে নতুন কমিটিতেঃ -খন্দকার নাসিরুল ইসলাম Logo তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল ব্যাপক ভূমিকা রাখছে শিক্ষা বিস্তারে Logo রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় আহত ৮ Logo শ্যামনগরে বিকল্প উপায়ে জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ Logo চরভদ্রাসনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নবাগত ইউএনওকে শুভেচ্ছা Logo কালুখালীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ওরিয়েন্টেশন Logo বোয়ালমারীতে নিজেদের বর্জ্যের কুয়ায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে আমণখেতে পোকার আক্রমণ

আলিফ হোসেন:

 

রাজশাহীর তানোরে বিস্তীর্ণ আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে আমণ চাষিরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। সারা মাঠ ছেয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধানে।

 

এদিকে গত ২৫ আগস্ট সোমবার সরেজমিনে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা যায়নি। আবার অনেক কৃষক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না।

 

ছাঐড় গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, তাঁর তিন বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ছাড়াই অনুমান নির্ভর হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।

 

কৃষক আয়ুব ও আব্দুল জানান, তাঁদের ৫ বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তাঁরা এখনো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেননি। এছাড়াও শহিদুলের ২ বিঘা ও আহমেদ আলীর ৫ বিঘা জমিতেও একই অবস্থা।

 

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এবারের আমণ মৌসুমে শুরু থেকেই চাষিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ গত বছরের তুলনায় এ বছর আমণ চাষের সময়ে অতিবৃষ্টি ও সারের সংকট ছিল। এখন আবার ভরা মৌসুমে পোকার আক্রমণ ও নন-ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেওয়ায় তাঁরা ফলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

 

অন্যদিকে, কৃষি পরামর্শ ছাড়া অনুমান নির্ভরভাবে এবং কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা।

 

উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের কৃষক মতিন ও হিম্মত আলী বলেন, “বাজারে যেভাবে নামিদামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল—তা বোঝা দুষ্কর।”

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপুরে সীমান্তে ১১ জনকে পুশইন

error: Content is protected !!

তানোরে আমণখেতে পোকার আক্রমণ

আপডেট টাইম : ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন:

 

রাজশাহীর তানোরে বিস্তীর্ণ আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে আমণ চাষিরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। সারা মাঠ ছেয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধানে।

 

এদিকে গত ২৫ আগস্ট সোমবার সরেজমিনে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা যায়নি। আবার অনেক কৃষক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না।

 

ছাঐড় গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, তাঁর তিন বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ছাড়াই অনুমান নির্ভর হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।

 

কৃষক আয়ুব ও আব্দুল জানান, তাঁদের ৫ বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তাঁরা এখনো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেননি। এছাড়াও শহিদুলের ২ বিঘা ও আহমেদ আলীর ৫ বিঘা জমিতেও একই অবস্থা।

 

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এবারের আমণ মৌসুমে শুরু থেকেই চাষিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ গত বছরের তুলনায় এ বছর আমণ চাষের সময়ে অতিবৃষ্টি ও সারের সংকট ছিল। এখন আবার ভরা মৌসুমে পোকার আক্রমণ ও নন-ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেওয়ায় তাঁরা ফলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

 

অন্যদিকে, কৃষি পরামর্শ ছাড়া অনুমান নির্ভরভাবে এবং কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা।

 

উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের কৃষক মতিন ও হিম্মত আলী বলেন, “বাজারে যেভাবে নামিদামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল—তা বোঝা দুষ্কর।”

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট