ঢাকা , শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আ. লীগ নেতা কৃষ্ণ চন্দ্র এখন এনসিপিতে Logo ইতিহাস ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ গোপালগঞ্জ -ভিপি নুরুল হক নুর Logo শহিদুল ইসলাম বাবুলের মুক্তির দাবিতে সদরপুর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ Logo মধুখালীতে ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০ Logo বৃহত্তর রাজশাহীর কৃষি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান সুমন রাফি Logo মাগুরায় সাবেক এমপি কাজী কামাল ও যুবদল নেতা নয়নের গণ সংবর্ধনা Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রধান শিক্ষকের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা Logo আমরা সবাই মিলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবোঃ -মহম্মদপুরে কাজী কামাল  Logo কালুখালীতে শিল্প ও বনিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo ঠাকুরগাঁওয়ে চাষ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন জাতের আখ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

জসীমউদ্দীন ইতি:

 

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, পদসোপান সংস্কার এবং স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

 

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তায় জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই কর্মসূচি পালন করেন।

 

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন

তারা বলেন, “আমাদের তিনটি যৌক্তিক দাবি রয়েছে—এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে, পদসোপান সংস্কার করতে হবে এবং একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই দাবিগুলো মানা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

 

তাদের প্রধান দাবিসমূহ
১. এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ:

সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদকে গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-৯-এ উন্নীত করে বিসিএস ক্যাডার মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
এই পদ উন্নয়ন হলে শিক্ষকরা সমাজসেবা অফিসার, সাব-রেজিস্ট্রার, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর, থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার, পুলিশ পরিদর্শক এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সমপর্যায়ের হবেন।

২. পদসোপান সংস্কার:

বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জন্য ৪-৫ ধাপের একটি সুসংগঠিত একাডেমিক পদসোপান চালু করতে হবে।
বর্তমানে ৯০-৯৫% শিক্ষক কোনো পদোন্নতি ছাড়াই অবসর গ্রহণ করেন, যা কলেজ শিক্ষকদের তুলনায় বৈষম্যমূলক।

৩. স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা:

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

 

প্রেক্ষাপট ও আহ্বান

১৯৮৫ সাল থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১০ এ আটকে রয়েছেন, যেখানে একই মর্যাদার অন্যান্য পদ গ্রেড-৯ এ উন্নীত হয়েছে।

 

শিক্ষকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের এই দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষা পাবে এবং প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। এটি সময়ের দাবি।”

 

এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

পরে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আ. লীগ নেতা কৃষ্ণ চন্দ্র এখন এনসিপিতে

error: Content is protected !!

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :

জসীমউদ্দীন ইতি:

 

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, পদসোপান সংস্কার এবং স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

 

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তায় জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই কর্মসূচি পালন করেন।

 

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন

তারা বলেন, “আমাদের তিনটি যৌক্তিক দাবি রয়েছে—এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে, পদসোপান সংস্কার করতে হবে এবং একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই দাবিগুলো মানা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

 

তাদের প্রধান দাবিসমূহ
১. এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ:

সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদকে গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-৯-এ উন্নীত করে বিসিএস ক্যাডার মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
এই পদ উন্নয়ন হলে শিক্ষকরা সমাজসেবা অফিসার, সাব-রেজিস্ট্রার, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর, থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার, পুলিশ পরিদর্শক এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সমপর্যায়ের হবেন।

২. পদসোপান সংস্কার:

বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জন্য ৪-৫ ধাপের একটি সুসংগঠিত একাডেমিক পদসোপান চালু করতে হবে।
বর্তমানে ৯০-৯৫% শিক্ষক কোনো পদোন্নতি ছাড়াই অবসর গ্রহণ করেন, যা কলেজ শিক্ষকদের তুলনায় বৈষম্যমূলক।

৩. স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা:

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

 

প্রেক্ষাপট ও আহ্বান

১৯৮৫ সাল থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১০ এ আটকে রয়েছেন, যেখানে একই মর্যাদার অন্যান্য পদ গ্রেড-৯ এ উন্নীত হয়েছে।

 

শিক্ষকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের এই দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষা পাবে এবং প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। এটি সময়ের দাবি।”

 

এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

পরে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।


প্রিন্ট