ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় Logo বাঘায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী চাঁদের মতবিনিময় Logo শিবগঞ্জে চোখ উপড়ে পাহারাদারকে হত্যা Logo মধুখালীতে সাংবাদিক সাগর চক্রবর্তীর মোটরসাইকেল চুরি Logo বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা  Logo বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য পালশা ডে নাইট শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল Logo কালুখালীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo তানোরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু Logo হিলিতে বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত-১আহত হয়েছে ৬ জন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

এক বাল্ব ও এক ফ্যানের বিল পৌনে ৫ লাখ টাকা

মাগুরার মহম্মদপুরে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বসতবাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি বাল্ব ও একটি ফ্যানের বিল এসেছে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাস উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের মৃত শ্রীপতি বিশ্বাসের ছেলে। মার্চ মাসে ওই বাড়িতে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ এক মা ছাড়া কেউ ছিলেন না। মার্চ মাসে একটি বাল্ব ও একটি ফ্যান চালিয়ে বিলম্ব বিলসহ এসেছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা।

জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার অধিকাংশ মিটারে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি বিল আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে কোনো ফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এর ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হতাশায় রয়েছেন তারা। মিটার না দেখে আনুমানিকভাবে বিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ মা মিরারানী জানান, গত জানুয়ারি মাসে ৩৫০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৩ টাকা বিল এসেছে। কিন্তু মার্চ মাসে চার লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিটার না দেখে অনুমানের ওপর নির্ভর করে বিল করেছে বিদ্যুৎ অফিস।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বকেয়া বিল নেই। আমার বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ থাকে না। বাড়িতে একটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ, একটি পানি তোলার মোটর, দুইটি লাইট এবং টেলিভিশন ব্যবহৃত হয়। আমার তিন ছেলে সবাই বাইরে থাকে। এমন বিল দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ছেলেদের জানালে তারাও হতবাক হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এর আগে গত ছয় মাস আগে একটি বিলে ১৫শ’ টাকা এসেছিল। সেই টাকা আমি অনেক কষ্টে পরিশোধ করি।

স্থানীয়রা জানান, আমরা এই ভুতুড়ে বিল দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছি।

মহম্মদপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, এটা তেমন কিছু না, কম্পিউটারে পোস্টিং দেওয়ার সময় ভুল হয়েছে, বিলের কপি নিয়ে আসলে ঠিক করে দেওয়া হবে।



প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরাতে অভিযোজন কৃষি চর্চা বাড়াতে কৃষি ফসল ও সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

error: Content is protected !!

এক বাল্ব ও এক ফ্যানের বিল পৌনে ৫ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
মোঃ শফিকুল ইসলাম জীবন, মহম্মদপুর, মাগুরা প্রতিনিধিঃ :

মাগুরার মহম্মদপুরে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বসতবাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি বাল্ব ও একটি ফ্যানের বিল এসেছে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাস উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের মৃত শ্রীপতি বিশ্বাসের ছেলে। মার্চ মাসে ওই বাড়িতে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ এক মা ছাড়া কেউ ছিলেন না। মার্চ মাসে একটি বাল্ব ও একটি ফ্যান চালিয়ে বিলম্ব বিলসহ এসেছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা।

জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার অধিকাংশ মিটারে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি বিল আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে কোনো ফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এর ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হতাশায় রয়েছেন তারা। মিটার না দেখে আনুমানিকভাবে বিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ মা মিরারানী জানান, গত জানুয়ারি মাসে ৩৫০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৩ টাকা বিল এসেছে। কিন্তু মার্চ মাসে চার লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিটার না দেখে অনুমানের ওপর নির্ভর করে বিল করেছে বিদ্যুৎ অফিস।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বকেয়া বিল নেই। আমার বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ থাকে না। বাড়িতে একটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ, একটি পানি তোলার মোটর, দুইটি লাইট এবং টেলিভিশন ব্যবহৃত হয়। আমার তিন ছেলে সবাই বাইরে থাকে। এমন বিল দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ছেলেদের জানালে তারাও হতবাক হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এর আগে গত ছয় মাস আগে একটি বিলে ১৫শ’ টাকা এসেছিল। সেই টাকা আমি অনেক কষ্টে পরিশোধ করি।

স্থানীয়রা জানান, আমরা এই ভুতুড়ে বিল দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছি।

মহম্মদপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, এটা তেমন কিছু না, কম্পিউটারে পোস্টিং দেওয়ার সময় ভুল হয়েছে, বিলের কপি নিয়ে আসলে ঠিক করে দেওয়া হবে।



প্রিন্ট