মোঃ জিয়াউর রহমানঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অপরাধী পারাপার অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধসহ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এ ধরণের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কুষ্টিয়া (৪৭ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষকে আইন মেনে চলার আহবান জানানো হচ্ছে।
বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের পর সীমান্তের ‘জিরো লাইন’ এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অহেতুক সীমান্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন বিজিবি।
নির্বাচনের আগে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতপুর সীমান্তের বিওপিগুলিতে অতিরিক্ত জনবল বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত জুড়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠায় বিজিবি’র এমন পদক্ষেপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দৌলতপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মরুটিয়া, করিমপুর ও হোগলবাড়িয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার সঙ্গে সীমানা বেষ্টিত রয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকালে কোনো চিহ্নিত অপরাধী যেন সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগ বা দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
নির্বাচনের আগে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পুশ ইনের মতো ঘটনা এড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে বিজিবি।
এছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত হামলাকারীরা অবৈধভাবে দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকটিও গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কোনো অপরিচিত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানাতে সবার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন. শুধু নির্বাচনকালীন সময় নয়, সার্বিকভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক রাখা বিজিবির প্রধান লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রিন্ট

মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু 
মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 




















