মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
দুর্নীতিবাজ, মুখোশধারী, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক এস এ আজাদ কর্তৃক মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলী আকসাদ ঝন্টু।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় পৌর সদরের রেড চিলি রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারী শনিবার সকালে উপজেলার পানাইল গ্রামের বাসিন্দা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক এস এ আজাদ তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যাহা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমার কাছে তিন শতাংশ জমি বিক্রয় করেছে। যাহা মিথ্যা কথা। তিনি ৩.৭৫ শতাংশ জমি দুটি দলিল বাজার মূল্যে ১ কোটি টাকা চুক্তিতে বিক্রি করেছে আমার স্ত্রী মাকসুদা সুলতানা পপির নিকট। জমি বিক্রি বাবদ ২৫ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করা হয়।
বাকি ৭৫ লাখ টাকা তারিখ বিহীন একটি চেক প্রদান করা হয় । পরবর্তীতে গত বছরের ২০ জুলাই তাহার পাওনা ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে দেই। আমার দেওয়া ৭৫ লাখ টাকার চেক ফেরৎ চাওয়া হয়। চেক ঢাকায় রয়েছে বলে জানান। উক্ত জমি ক্রয়ের আগে তাহার জমি ক্রয় বাবদ আরও ৪০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। চেক দেওয়ার কথা বলে একাধিকবার সময় নেন। আমার চেক ফেরৎ পাওয়ার জন্য আইনিন নোটিশ পাঠাই। বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। বর্তমান মামলাটি চলমান রয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত এ খাদ্য পরিচালক রাজধানীর শ্যামলীতে তার নিজের বহুতল ভবনের ২ তয় তলায় ৪টি ইউনিট ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পিঙ্গুলিয়া মৌজার ৫১ শতাংশ জমি বিক্রয় করার শর্তে আলোচনা সাপেক্ষে জমি ও ফ্লাটের মূল্যে নির্ধারণ করা হয় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা । গত বছরের ১৪ জুলাই বায়না প্রদান করা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে আমাকে দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দিতে না পারায় টাকার বিপরীধে সিকিউরিটি হিসেবে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক প্রদান করে। টাকা উত্তলনের জন্য রুপালী ব্যাংকে চেক জমা দেই। ব্যাংক এ্যাকউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরৎ আসে। পরবর্তীতে চেকটি ডিজঅনার করা হয় ।
প্রিন্ট