মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামে মুক্তি পাগলীর মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে ওরশ আয়োজক কমিটি এবং ইউনিয়নের ওলামায়ে কেরামগণের মধ্যে দুইটি গ্রুপ তৈরী হয়ে সংঘর্ষের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।
১২ নং স্মারকে জানা যায়, গত (৫ জানুয়ারি) রবিবার নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চড় আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের মুক্তি পাগলীর মাজার এলাকায় উক্তরূপ বেআইনী কার্যকলাপ প্রতিরোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাত্তার স্বার্থে ০৫/০১/২০২৫ ইং রাত ৮.০০ ঘটিকা হতে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করেন তিনি।
জানা যায়, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চার ডিসেম্বর ২০২৫ ইং ১১ নং স্মারকে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ, রায়পুরা থানাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করেন এবং অফিসার ইনচার্জ, রায়পুরা থানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরো জানা যায়, চড় আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাগাইকান্দি গ্রামে ০৫/০১/২৫ ইং হতে “তিন” দিন ব্যাপী মুক্তি পাগলীর মাজারে ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে মাওলানা আনিছুর রহমান ও মাওলানা ওমর মোল্লাদের নেতৃত্বে ওলামায়ে কেরামগণ উক্ত ওরশ শরীফের অনুষ্ঠান প্রতিহত করবে। অপরদিকে, ওরশ শরীফের লোকজন বাধা প্রতিহত করবে মর্মে জানান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, অফিসার ইনচার্জ, রায়পুরা থানার প্রতিবেদন মতে যেকোন সময় উক্ত এলাকায় আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে ও ব্যাপক প্রাণহানীর আশংকা রয়েছে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, সরকারি ও সাধারণ জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির আশঙ্কাও রয়েছে।
উক্ত আদেশে বলেছেন, ওই এলাকায় ও তার আশপাশে চার জনের অধিক লোক একসাথে চলাচল, কোন মিটিং ও লাঠিসহ যে কোন ধরণের মিছিল, সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে এমন কোন কার্যকলাপ যেমন দেশীয় অস্ত্র, ধারালো ছুরি, বল্লম, ট্যাটাসহ সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষেধ। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামে মুক্তি পাগলীর মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রুপে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল। বর্তমানে ওই খানকার পরিস্থিতি শান্ত আছে, আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
অবশেষ আদেশে আরো বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কার্যক্রমে নিয়োজিত সদস্য এবং মহাসড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ ও যানবাহন, যেমন জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স পরিবহনের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
প্রিন্ট