ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২ Logo বোয়ালমারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ১৬ দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ Logo পাংশায় কুয়েতির অর্থায়নে এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo তিন গুণ হলো রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম Logo লালপুরে বিদ্যালয়ের গ্রিল ভেঙে চুরি Logo রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি নাজমা গ্রেফতার Logo সংগীতশিল্পী আব্দুল জলিল আর নেই Logo কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র কমিটি বাতিলের দাবিতে অনশনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি Logo নলছিটিতে ডাক্তারের সীল জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক একজন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দুর্নীতির মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভেড়ামারা বামন পাড়ার তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘নানা অভিযোগ তদন্ত শিরোনামের’ কয়েকটি পত্রিকায় যে সকল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

 

তিনি আরো বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চিঠির আলোকে ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত কার্য পরিচালিত হয়। তবে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রদান করা তদন্ত রিপোর্টে আমার বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের বিপরীতে কোনো নির্দিষ্ট ক্রমিক অনুসারে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

 

শফিকুল ইসলাম বলেন, “৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমার বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা আমার অফিসে সুপার গ্লু দিয়ে তালা আটকায় এবং বাহিরের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। এরপর তারা আমার নিকট থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানাই। ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করে, যার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে আসেন এবং এক বৈঠকে আমাকে ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যশোর শিক্ষাবোর্ডের তদন্ত রিপোর্টে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।”

 

“শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা এনটিআসিএ এবং ম্যানেজিং কমিটি বহন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে হয়। বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি টাকা উত্তোলনের দায়িত্বও সভাপতির এবং প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে সম্পন্ন হয়।”

 

শেষে তিনি বলেন, “হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইলিয়াস হোসেন খান ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অনিয়মিত ছিলেন।

 

এছাড়া, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও ট্রাস্ট কমিটির সদস্য, ম্যানেজিং কমিটির সাথে দ্বিমত সৃষ্টি করেছেন। এই সমস্ত ঘটনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যার ফলে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২

error: Content is protected !!

মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ২২ ঘন্টা আগে
মোঃ ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দুর্নীতির মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভেড়ামারা বামন পাড়ার তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘নানা অভিযোগ তদন্ত শিরোনামের’ কয়েকটি পত্রিকায় যে সকল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

 

তিনি আরো বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চিঠির আলোকে ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত কার্য পরিচালিত হয়। তবে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রদান করা তদন্ত রিপোর্টে আমার বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের বিপরীতে কোনো নির্দিষ্ট ক্রমিক অনুসারে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

 

শফিকুল ইসলাম বলেন, “৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমার বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা আমার অফিসে সুপার গ্লু দিয়ে তালা আটকায় এবং বাহিরের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। এরপর তারা আমার নিকট থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানাই। ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করে, যার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে আসেন এবং এক বৈঠকে আমাকে ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যশোর শিক্ষাবোর্ডের তদন্ত রিপোর্টে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।”

 

“শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা এনটিআসিএ এবং ম্যানেজিং কমিটি বহন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে হয়। বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি টাকা উত্তোলনের দায়িত্বও সভাপতির এবং প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে সম্পন্ন হয়।”

 

শেষে তিনি বলেন, “হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইলিয়াস হোসেন খান ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অনিয়মিত ছিলেন।

 

এছাড়া, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও ট্রাস্ট কমিটির সদস্য, ম্যানেজিং কমিটির সাথে দ্বিমত সৃষ্টি করেছেন। এই সমস্ত ঘটনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যার ফলে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”


প্রিন্ট