ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২ Logo বোয়ালমারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ১৬ দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ Logo পাংশায় কুয়েতির অর্থায়নে এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo তিন গুণ হলো রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম Logo লালপুরে বিদ্যালয়ের গ্রিল ভেঙে চুরি Logo রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি নাজমা গ্রেফতার Logo সংগীতশিল্পী আব্দুল জলিল আর নেই Logo কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র কমিটি বাতিলের দাবিতে অনশনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি Logo নলছিটিতে ডাক্তারের সীল জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক একজন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে ফসলি জমির টপ সয়েল ইট ভাটায় ?

সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্ট

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোয়ালপাড়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে কেআরবি ইট ভাটা। এখানে ফসলি জমির উপরের উর্বরা মাটি (টপ সয়েল) সংগ্রহ করে ইট তৈরি করা হচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ইট ভাটা মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরে মাটির উৎস নিয়ে অঙ্গীকারনামা দাখিল করলেও বাস্তবে তাদের অনেকেই এই অঙ্গীকার পালন করেননি। তারা পতিত জলাভূমির পরিবর্তে কৃষি জমির উর্বরা মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে, ফলে প্রতিবছর কৃষি জমির পরিমাণ কমছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

 

স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, কৃষি জমির টপ সয়েল একবার সরে গেলে তা পুনরায় কৃষি উপযোগী করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য উৎপাদন বিপর্যস্ত হতে পারে। যদিও এখনো আবাদি জমির টপ সয়েল হারানোর ক্ষতিকর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে না, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি অশনি সংকেত।

 

স্থানীয়দের মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাজী আবুল কালাম আজাদ অবৈধভাবে এই ইট ভাটা চালাচ্ছেন। তারা এক্সক্যাভেটর দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রাক্টর মাটি ৩০০ টাকায় কিনে তারা এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি করছে।

 

এদিকে, ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, যার কারণে পরিবেশে ব্যাপক ধোঁয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলায় বনভূমির পরিমাণ কমছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তদারকি নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, কালো ধোঁয়া নির্গত হয় এমন ইট ভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং কাঠ পোড়ানো যাবে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

 

ভাটা মালিক হাজী আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশে যেভাবে ইট ভাটা চলছে, তারাও সেভাবেই ভাটা চালাচ্ছেন, তাই এর মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। তবে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, তারা শিগগিরই মাটির উৎস নিয়ে ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২

error: Content is protected !!

তানোরে ফসলি জমির টপ সয়েল ইট ভাটায় ?

আপডেট টাইম : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্ট :

সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্ট

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোয়ালপাড়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে কেআরবি ইট ভাটা। এখানে ফসলি জমির উপরের উর্বরা মাটি (টপ সয়েল) সংগ্রহ করে ইট তৈরি করা হচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ইট ভাটা মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরে মাটির উৎস নিয়ে অঙ্গীকারনামা দাখিল করলেও বাস্তবে তাদের অনেকেই এই অঙ্গীকার পালন করেননি। তারা পতিত জলাভূমির পরিবর্তে কৃষি জমির উর্বরা মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে, ফলে প্রতিবছর কৃষি জমির পরিমাণ কমছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

 

স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, কৃষি জমির টপ সয়েল একবার সরে গেলে তা পুনরায় কৃষি উপযোগী করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য উৎপাদন বিপর্যস্ত হতে পারে। যদিও এখনো আবাদি জমির টপ সয়েল হারানোর ক্ষতিকর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে না, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি অশনি সংকেত।

 

স্থানীয়দের মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাজী আবুল কালাম আজাদ অবৈধভাবে এই ইট ভাটা চালাচ্ছেন। তারা এক্সক্যাভেটর দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রাক্টর মাটি ৩০০ টাকায় কিনে তারা এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি করছে।

 

এদিকে, ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, যার কারণে পরিবেশে ব্যাপক ধোঁয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলায় বনভূমির পরিমাণ কমছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তদারকি নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, কালো ধোঁয়া নির্গত হয় এমন ইট ভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং কাঠ পোড়ানো যাবে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

 

ভাটা মালিক হাজী আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশে যেভাবে ইট ভাটা চলছে, তারাও সেভাবেই ভাটা চালাচ্ছেন, তাই এর মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। তবে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, তারা শিগগিরই মাটির উৎস নিয়ে ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


প্রিন্ট