ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাতিয়ায় ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ১ Logo সালথায় শত্রুতার জেরে প্রাবাসীর বাগানের চারা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ Logo নাটোরে সাবেক এমপি বকুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Logo লালপুরে ট্রাক পাওয়ারট্রলি ও নসিমনের ত্রিমুখী সংঘর্ষ: আহত ২১ Logo পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপে চোলাই মদসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo মুকসুদপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত Logo ফরিদপুরে ‌ কামরুজ্জামান সিদ্দিকীর উপর হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কালুখালীতে সরকারী জায়গায় পাকা স্থাপনা তৈরির হিরিকঃ কতৃপক্ষ উদাসিন Logo ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আগমন উপলক্ষে প্রস্তুুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরের সালথায় ৮৫ বছর বয়সি সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহ-সভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝেই ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান।

 

তবে মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

 

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫-৬টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

রাত ৯টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

হাতিয়ায় ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট টাইম : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
এফ. এম আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথায় ৮৫ বছর বয়সি সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহ-সভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝেই ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান।

 

তবে মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

 

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫-৬টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

রাত ৯টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


প্রিন্ট