আনিসুর রহমান, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
দুই কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৫ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২৯ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রী সায়েরা বানুর সম্পদ বিবরণী তলব করেছে সংস্থাটি।
গত বুধবার (১ জানুয়ারি) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি শহিদুল ইসলাম বকুল ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৪ টাকা জমা ও মোট ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ৭১৩ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ২৯ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৮৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। যা মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ এর মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এসব গোপন করতে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর কৌশল নিয়েছেন তিনি। ফলে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই সাবেক এমপি তার স্ত্রী সায়েরা বানুর নামে ৩৪ লাখ ৮ হাজার ৭১৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বলে এজাহারে জানানো হয়। এর বাইরে সায়েরা বানুর নামে আরও অবৈধভাবে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে তার সম্পদের বিবরণ তলব করা হয়েছে।
এর আগে গত সংসদ নির্বাচনে এমপি বকুলের আয় বেড়েছে ৪০ গুণ, সম্পদ ২৪ গুণ শিরোনামে প্রতিদিনের বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশ হলে আলোচনায় আসেন এই সাবেক সংসদ সদস্য।
প্রিন্ট