ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালুখালীতে সরকারী জায়গায় পাকা স্থাপনা তৈরির হিরিকঃ কতৃপক্ষ উদাসিন

সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখলের হিড়িক চলছে। কোথাও কোথাও দখলকৃত জায়গায় তৈরি হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তবে এসব বন্ধের ব্যাপারে কতৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা হারাচ্ছে ।

বিগত বছরে একটি ভূমি দখলদার চক্র কালুখালীর চন্দনা নদীর দক্ষিন পাড়ের কোটি টাকার জমি দখল করে পাকা ঘর তৈরি করে। স্থানীয়রা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবগত করলেও তারা এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি । পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা অভিযোগের পর কদিন ঘুরাফেরা করেছে, তারপর হাতের কাজ সম্পন্ন করে পাকা ঘর তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে। এভাবেই হাতছাড়া হয়েছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ ।
এবার চন্দনার উত্তর পাশের পালা । এ পর্বে কালুখালী সরকারী কলেজের আশপাশে চলছে সরকারী জমি দখলের মহোৎসব। দুমাস আগে আজিজুল নামের একজনের পানি উন্নয়ন বোর্ডের লীজকৃত জমির দখল নিয়েছে সহিদুজ্জামান নামের এক ভূমিগ্রাসী । পানি উন্নয়ন বোর্ডের লীজকৃত জমির সাথে আজিজুলের বিএস ৫১৩ নং নাল জমিও দখল করেছে ওই ভূমিগ্রাসী । দখলকৃত জমিতে টিনের ঘর তুলেছে সহিদুজ্জামান। মজার ব্যাপার লোকচক্ষু এড়াতে সে ঘরের মধ্যে পাকা ঘর তৈরি করছে ।

 

সরকারী জায়গা থেকে বেশ কিছু মেহগনি গাছও কেটেছে দখলদারগন। স্থানীয়রা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ।

কালুখালীর আর্চ ব্রীজ এর উত্তর দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০ শতাংশ জমি লীজ প্রদান করেছে জমির মুল মালিকপক্ষ (অধিগ্রহনেরআগের মালিক ) ওসমান গনিকে। কেস নং ৯৯/৬১-৬২ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ওই জমিতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ঘর উত্তোলন করছে মো: শাহজাহান মিয়া নামের এক ভূমিগ্রাসী । ওসমান গনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

তবে ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ । ফলে পাকা ঘর স্থাপন কাজ অব্যাহত রেখেছে শাহজাহান মিয়া।

এ ব্যাপারে জানার জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি ধরেন নি। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি’র সাথে ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের এআরও পাঠানো হবে। কেউ অবৈধ ভাবে সরকারী জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

কালুখালীতে সরকারী জায়গায় পাকা স্থাপনা তৈরির হিরিকঃ কতৃপক্ষ উদাসিন

আপডেট টাইম : ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :

সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখলের হিড়িক চলছে। কোথাও কোথাও দখলকৃত জায়গায় তৈরি হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তবে এসব বন্ধের ব্যাপারে কতৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা হারাচ্ছে ।

বিগত বছরে একটি ভূমি দখলদার চক্র কালুখালীর চন্দনা নদীর দক্ষিন পাড়ের কোটি টাকার জমি দখল করে পাকা ঘর তৈরি করে। স্থানীয়রা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবগত করলেও তারা এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি । পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা অভিযোগের পর কদিন ঘুরাফেরা করেছে, তারপর হাতের কাজ সম্পন্ন করে পাকা ঘর তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে। এভাবেই হাতছাড়া হয়েছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ ।
এবার চন্দনার উত্তর পাশের পালা । এ পর্বে কালুখালী সরকারী কলেজের আশপাশে চলছে সরকারী জমি দখলের মহোৎসব। দুমাস আগে আজিজুল নামের একজনের পানি উন্নয়ন বোর্ডের লীজকৃত জমির দখল নিয়েছে সহিদুজ্জামান নামের এক ভূমিগ্রাসী । পানি উন্নয়ন বোর্ডের লীজকৃত জমির সাথে আজিজুলের বিএস ৫১৩ নং নাল জমিও দখল করেছে ওই ভূমিগ্রাসী । দখলকৃত জমিতে টিনের ঘর তুলেছে সহিদুজ্জামান। মজার ব্যাপার লোকচক্ষু এড়াতে সে ঘরের মধ্যে পাকা ঘর তৈরি করছে ।

 

সরকারী জায়গা থেকে বেশ কিছু মেহগনি গাছও কেটেছে দখলদারগন। স্থানীয়রা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ।

কালুখালীর আর্চ ব্রীজ এর উত্তর দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০ শতাংশ জমি লীজ প্রদান করেছে জমির মুল মালিকপক্ষ (অধিগ্রহনেরআগের মালিক ) ওসমান গনিকে। কেস নং ৯৯/৬১-৬২ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ওই জমিতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ঘর উত্তোলন করছে মো: শাহজাহান মিয়া নামের এক ভূমিগ্রাসী । ওসমান গনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

তবে ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ । ফলে পাকা ঘর স্থাপন কাজ অব্যাহত রেখেছে শাহজাহান মিয়া।

এ ব্যাপারে জানার জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি ধরেন নি। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি’র সাথে ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের এআরও পাঠানো হবে। কেউ অবৈধ ভাবে সরকারী জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।


প্রিন্ট