ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার দুই নম্বর আসামি আমির হামজা মানিকের বাবা আশরাফুল ইসলাম মতিনকে (৮ নম্বর আসামি) গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব।
মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ।
গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পৌরসভা চত্বরে পিঠা উৎসবে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ কয়েকজনের ওপর ছাত্রলীগ ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার বিস্তারিত বর্ণনা করেন তারা।
মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার আশরাফুল ইসলাম মতিনের ছেলে স্যাম সাদিক (২২), জগতি এলাকার আমির হামজা মানিক (২২), থানাপাড়া এলাকার প্রেম (২৩), শাহরিয়ার (২২), সিয়াম (২৩), টোটন (২৩), কমলাপুর এলাকার গোপিজয় (২৩) এবং একই এলাকার মৃত আবু হানিফের ছেলে আশরাফুল ইসলাম মতিন (৫৫)।
আরও পড়ুনঃ খোকসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, “এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
প্রিন্ট