আজ ৯ ডিসেম্বর সোমবার, যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ- সভাপতি শহীদ কবির হোসেন পলাশের ১১তম হত্যাবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি ও বোমায় নিহত হন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে যশোর জেলা ছাত্রদল ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পলাশের হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ পলাশের বড় বোন ফারহানা ইয়াসমিন রুমার কাজী পাড়ার নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
অপরদিকে ছাত্রদলও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কারবালা গোরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল। যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর জানান, জোহরবাদ কারবালা গোরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারতের আয়োজন করেছে যশোর জেলা ছাত্রদল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পলাশ, শামসুজ্জামান রিন্টুসহ কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ২/৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক এসে কবির হোসেন পলাশের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ও শামসুজ্জামান রিন্টুর পায়ে গুলি করে। পরে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পলাশ মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কবির হোসেন পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রিন্ট