মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ইসকন নিষিদ্ধ ও চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে আদালত প্রাঙ্গণে হত্যার ও মসজিদ ভাংচুর প্রতিবাদে এবং খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ফরিদপুর জেলা আলফাডাঙ্গা উপজেলা উলামা-মাশায়েখ ও তাওহীদি জনতার এবং আলফাডাঙ্গা খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিশাল প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকালেড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পৌর চৌরাস্তার ঘুরে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে। মিছিল শেষ করে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত করেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্বে করেন আলফাডাঙ্গা ক্বওমী ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুফতি সিরাজুল ইসলাম ।
সঞ্চলনা করেন মাও আহসানুল্লাহ সাহেব, সাধারন সম্পাদক ক্বওমী ওলামা পরিষদ।
সভার বক্তব্যদেন মাওঃ আমিনুল্লাহ সাহেব সভাপতি, বাংলাদেশ জমিয়াতে ওলামায়, আলফাডাঙ্গা শাখা, মুফতি কুতুবউদ্দিন ফরিদি, ইমাম ও খতিব কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
আরও বক্তব্য দেন, মাওঃ আজিজুল্লাহ সাহেব, মাঃ আমিরুল ইসলাম, মুফতি ইবাদত হোসেন সিনিয়র সহ সভাপতি, খেলাফত মজলিস, মুফতি শরিফুল ইসলাম, সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন আলফাডাঙ্গা, মুফতি বেলায়েত ইসলামী আন্দোলন, মুফতি আঃ করিম, খেলাফত যুব মজলিস, মাও ইলিয়াস, আবু বকর, মাও সাফিউল্লাহ, মুফতি আশিকুর রহমান প্রমূক।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঃ তামিম আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টা, ক্বওমী ওলামা ঐক্য পরিষদ।
এসময় উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে আলেম উলামাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সমাবেশে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করে। একসময় সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে লোকাল বাস কাউন্টার ও হাসপাতাল গেট হয়ে চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এতে ভারতে বসে মদদ যোগাচ্ছে এদেশ শত্রুরা। ইসকনের অপতৎপরতা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টারই অংশ। চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা বিষয়টি ও মসজিদ ভাঙচুর দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর অপপ্রয়াস।এটা বাংলাদেশ। স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। এটা ইন্ডিয়া না, এটা দাদাদে দেশ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় মুসলমান, মুসলমানরা কখনো উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে বক্তৃতারা আরো বলেন, আপনাদের মন্দির আমাদের ছেলেরা পাহারা দেয়, এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এমনই।
বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের ভাই অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে তাওহীদি জনতার হৃদয় থেকে রক্ত ক্ষরণ করা হয়েছে। যারা এই হত্যার পিছনে আছে তারা যেন ভারতে পালাতে না পারে এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ইসকন একটি উগ্রবাদী সংগঠন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের উগ্রবাদীতার কারণে যেখানেই তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করেছে সেখানেই নিষিদ্ধ হয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ সনাতনধর্মের অনুসারীদের সাথে এই উগ্রবাদী সংগঠনের কোন সমর্থন নেই। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ।
প্রিন্ট