ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুরে ৬ জেলেকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত Logo রাজশাহীতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ.পি.ভি.) ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo প্রবাসীকে হত্যাঃ ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রীর যাবজ্জীবন, খালাস ৪ Logo রাজ্যজুড়ে বিএসইউয়ের ‘প্রয়াস মক টেস্ট’ Logo মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র; না টর্চার সেল ! Logo শিবগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান : অবরুদ্ধ ২ ম্যাজিস্ট্রেট Logo দৌলতপুর কৃষক দল নেতার মৃত্যুবার্ষিকী কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গুলি Logo লালপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ Logo বোয়ালমারীতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo মধুখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ড্রেজার মেশিন জব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে অপহরণ মামলার পর কিশোরী মুক্ত

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের অপহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠা এক কিশোরী (১৬) সেফ হোম থেকে মুক্ত হয়েছে।
কিশোরীর পরিবার ইতিপুর্বে তাকে (কিশোরীকে) খ্রিস্টান ধর্মে দিক্ষিত করার লক্ষ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সংবাদকর্মীদের কাছে, যা তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলো এলাকায়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ০৪ এপ্রিল ওই কিশোরীকে তার বাড়ীর সামনে থেকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে ২৫ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে কিশোরীর মা রওশনারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দয়ের করেন। কিশোরীর গৃহ শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বাবু, আপন মামী আম্বিয়া বেগম, স্কুল পড়ুয়া মামাতো ভাই সিয়াম ব্যাপারিসহ সহযোগি বিল্লাল, রুবেল এবং আলম মিয়াকে, তাকে (কিশোরী) জোরপূর্বক অপহরণ ও সহায়তা করেছে উল্লেখ করে আসামী করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ০২ মে মামলাটি কোতয়ালী থানায় নথিভুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম বাবুকে প্রধান আসামী করা হয় এবং ওই কিশোরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময় গৃহ শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বাবু কু-প্রস্তার দিতেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলার আইনজীবি গোলাম মনসুর নান্নু জানান, ১৮ মে আদালতে উপস্থাপনের পর বাবা মায়ের জিম্মায় দিতে চাইলে ওই কিশোরী যেতে অস্বিকৃতী জানায়। এসময় তার মা রওশনারা বেগম তাকে (কিশোরী) জোরপুর্বক বয়স্ক ব্যাক্তির সাথে বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানালে আদালত তাকে সেফ হোমে পাঠায়। পরে একাধিকবার আদালতের ধার্য তারিখে আদালত মায়ের জিম্মায় পাঠাতে চাইলে সে (কিশোরী) যেতে অস্বিকৃতি জানায়।
এ মামলার এক নম্বর আসামী শরিফুল ইসলাম বাবু জানান, ওই কিশোরীর মা ও বাবার অপপ্রচারের কারণে তিনি নিজ এলাকায় থাকতে পারছেন না। প্রাণ সংশয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যে কোনো সময় তার উপর হামলা হতে পারে বলে জানান তিনি। বাবু এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, খ্রিস্টান ধর্মে দিক্ষিত করার কোনো অভিযোগ কেউ করেনি পুলিশের কাছে। তবে অপহরন মামলা হয়েছিলো। ওই কিশোরীকে সেফ হোম থেকে বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে, তার (কিশোরীর) সাথে কথা বলে ব্যতিক্রম কিছু থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুরে ৬ জেলেকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে অপহরণ মামলার পর কিশোরী মুক্ত

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
সাইদা আক্তার ইমা, বিশেষ প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের অপহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠা এক কিশোরী (১৬) সেফ হোম থেকে মুক্ত হয়েছে।
কিশোরীর পরিবার ইতিপুর্বে তাকে (কিশোরীকে) খ্রিস্টান ধর্মে দিক্ষিত করার লক্ষ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সংবাদকর্মীদের কাছে, যা তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলো এলাকায়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ০৪ এপ্রিল ওই কিশোরীকে তার বাড়ীর সামনে থেকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে ২৫ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে কিশোরীর মা রওশনারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দয়ের করেন। কিশোরীর গৃহ শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বাবু, আপন মামী আম্বিয়া বেগম, স্কুল পড়ুয়া মামাতো ভাই সিয়াম ব্যাপারিসহ সহযোগি বিল্লাল, রুবেল এবং আলম মিয়াকে, তাকে (কিশোরী) জোরপূর্বক অপহরণ ও সহায়তা করেছে উল্লেখ করে আসামী করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ০২ মে মামলাটি কোতয়ালী থানায় নথিভুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম বাবুকে প্রধান আসামী করা হয় এবং ওই কিশোরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময় গৃহ শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বাবু কু-প্রস্তার দিতেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলার আইনজীবি গোলাম মনসুর নান্নু জানান, ১৮ মে আদালতে উপস্থাপনের পর বাবা মায়ের জিম্মায় দিতে চাইলে ওই কিশোরী যেতে অস্বিকৃতী জানায়। এসময় তার মা রওশনারা বেগম তাকে (কিশোরী) জোরপুর্বক বয়স্ক ব্যাক্তির সাথে বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানালে আদালত তাকে সেফ হোমে পাঠায়। পরে একাধিকবার আদালতের ধার্য তারিখে আদালত মায়ের জিম্মায় পাঠাতে চাইলে সে (কিশোরী) যেতে অস্বিকৃতি জানায়।
এ মামলার এক নম্বর আসামী শরিফুল ইসলাম বাবু জানান, ওই কিশোরীর মা ও বাবার অপপ্রচারের কারণে তিনি নিজ এলাকায় থাকতে পারছেন না। প্রাণ সংশয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যে কোনো সময় তার উপর হামলা হতে পারে বলে জানান তিনি। বাবু এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, খ্রিস্টান ধর্মে দিক্ষিত করার কোনো অভিযোগ কেউ করেনি পুলিশের কাছে। তবে অপহরন মামলা হয়েছিলো। ওই কিশোরীকে সেফ হোম থেকে বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে, তার (কিশোরীর) সাথে কথা বলে ব্যতিক্রম কিছু থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।