আমতলী পৌরবাসীসহ উপজেলার জনসাধারন তাকিয়ে আছেন কখন বাস্তবায়ন হবে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরেয়ার টুকুর বক্তব্য।
গত ১৬ এপ্রিল আমতলী পৌরসভা কর্তৃক দেয়া গনসংবর্ধনায় সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন আমতলী পৌরসভার একটি সুন্দর ভবন এবং জমি আছে। প্রাকৃতিক ভালো পরিবেশ আছে। ঠিক পৌরসভার চত্বরের মত পৌরসভার সকল ওয়ার্ডকে এভাবে সুন্দর করে সাজাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমতলী সরকারী কলেজ এবং উপজেলা পরিষদের সামনে ঘর তোলায় কলেজ এবং উপজেলা পরিষদের ভবনগুলো ঝুপরি ঘরের অড়ালে চলে গেছে। এগুলো অপসরন করে আধুনিক শহর গড়ে তুলতে হবে। প্রধান অতিথি সাংসদ গোলাম সরেয়ার টুকুর এ বক্তব্য উপস্থিত হাজার হাজার জনতা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সাংসদের এ বক্তব্যর পর সাধারন জনগনের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে এবং তারা বলছে কখন আমতলীর ঐতিহ্যবাহী সরকারী কলেজ ও উপজেলা পরিষদের সামনের ঘরগুলো অপসারন করা হবে। মুক্ত আকাশে দেখা যাবে আমতলী সরকারী কলেজ ও আমতলী উপজেলা পরিষদ।
জানা গেছে, আমতলী সরকারী কলেজের সামনে ও উপজেলা পরিষদের সামনে জেলা পরিষদের কিছু জমি রয়েছে । ঐ জমিতে শতাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৫/৭ বছর পূর্বে জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে ঘর উত্তোলন করে ব্যবসা বানিজ্য করছেন।
ঐ ঘরগুলোর কারনে আমতলী সরকারী কলেজ ও আমতলী উপজেলা পরিষদ মনে হয় ঝুপড়ির মধ্যে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী সরকারী কলেজ ও উপজেলা পরিষদ দেখা যায় না। স্থানীয় সুশিল সমাজ ও সাধারন জনগন দির্ঘদিন ধরে এ ঘরগুলো অপসারনের দাবী জানিয়ে আসছেন।
গত ১৬ এপ্রিল আমতলী পৌরসভা কর্তৃক দেয়া বরগুনা- ১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু এ বিষয় কথা বলায় আমতলী উপজেলাবাসী সাংসদের এ বক্তব্য সাদরে গ্রহন করে চেয়ে আছেন সাংসদের দিকে কখন বাস্তবায়ন হবে সাংসদের এ বক্তব্য ।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, আমতলী সরকারী কলেজ ও উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘর নির্মান করায় উপজেলা পরিষদ ও সরকারী কলেজের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং এই ঘরগুলোর মধ্যে টয়লেট স্থাপন করায় উপজেলা পরিষদ ও সরকারী কলেজর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয় জেলা উন্নয়ন সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে ।
আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, এই ঘরগুলোর কারনে সরকারী কলেজ ও উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে । ঘরগুলো বর্জ্য পরিবেশ নষ্ট করছে।
এ প্রসঙ্গে আমতলী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কলেজের সামনের সড়কে ঘড় তোলায় ঐতিহ্যবাহী কলেজটি দেখা যায় না এবং ঘরগুলোর টয়লেটের কারনে কলেজের পরিবেশ ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরগুলো অপসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
- আরও পড়ুনঃ তানোরে বরাদ্দের টাকা নয়-ছয়
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গির কবির মুঠেফোনে বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।