যশোরের রূপদিয়ায় দিনদুপুরে ১৪ পরিবারের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া ও লুটপাটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তারা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে তারা। গত ১৩ এপ্রিল রুপদিয়া মধ্যপাড়াতে এই ঘটনা ঘটে।
.
গত সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি টিম ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করেন। হামলার শিকার হওয়া পরিবাগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন এবং আতঙ্কে বসবাস করছেন।
.
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ভুক্তভোগীরা নেতাকর্মীদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সুষ্ঠু বিচার ও পুর্নবাসনে সব ধরণের সহযোগী করা হবে উল্লেখ করে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। এখানে যা হয়েছে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ। ঘটনার পর পরই ইউনিয়ন বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাহায্য সহযোগিতা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আবার এসেছি।
.
যারা ক্ষতিগ্রস্ত, ভোক্তভোগী তারা বলছে, হামলাকারীরা জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কোন রাজনৈতিক সংগঠন এমন দুবৃর্ত্তদের দায় নেওয়ার কথা নয়। যারা এই কাজটি করেছে, তারা দুবৃর্ত্ত, তারা সমাজে অনাচার সৃষ্টি করছে। আইনশৃংখলা বাহিনী দুবৃর্ত্ত পরিচয়েই তাদের বিবেচিত করবে। জামায়াতে ইসলামী যদি এই দুবৃর্ত্তদের দায়িত্ব নেয়, তাহলে বিএনপি রাজনৈতিক ভাবেই সেটা মোকাবেলা করবে।’
.
এর আগে সকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে যারা হামলা করেছে তারা দুর্বৃত্ত। দখলের নামে যারা হামলা চালিয়েছে; তারা অপরাধী। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আসলে এই হামলার সঙ্গে জামায়াতকে দোষারোপ করা হচ্ছে; এটা ভুল। সুবিধাবাধী গোষ্ঠী এটাকে রাজনীতিক রঙ লাগিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
.
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘ হামলার পরে আমরাও কয়েকবার ঘটনা স্থলে গিয়েছি। একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্ত চলছে।’
প্রিন্ট