ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

-ছবিঃ প্রতীকী।

রাজশাহীর বাঘায় অভিযান চালিয়ে দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (৪ মার্চ) উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারে অভিযান চালিয়ে নাজিয়া ডায়াগনস্টিকস সেন্টার ও জাহানারা ডায়াগনস্টিকস সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় ডায়াগনস্টিকস সেন্টার দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

 

জানা যায়, উপজেলায় ২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অস্ত্রপচারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ক্লিনিক।

 

২০২২ সালের ৩০ মে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারায় সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগসষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

 

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী যুথি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সদরে স্থানীয় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় প্রসূতির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রিলিজ দেয়ার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয়।

 

 

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতির সিজার অপরেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান। ২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের পর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।
২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট হার্নিয়া অপরেশনের তিনদিন পর বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগমের সিজার অপরেশনের পর মারা যান।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

আপডেট টাইম : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাঘায় অভিযান চালিয়ে দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (৪ মার্চ) উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারে অভিযান চালিয়ে নাজিয়া ডায়াগনস্টিকস সেন্টার ও জাহানারা ডায়াগনস্টিকস সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় ডায়াগনস্টিকস সেন্টার দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

 

জানা যায়, উপজেলায় ২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অস্ত্রপচারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ক্লিনিক।

 

২০২২ সালের ৩০ মে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারায় সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগসষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

 

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী যুথি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সদরে স্থানীয় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় প্রসূতির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রিলিজ দেয়ার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয়।

 

 

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতির সিজার অপরেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান। ২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের পর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।
২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট হার্নিয়া অপরেশনের তিনদিন পর বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগমের সিজার অপরেশনের পর মারা যান।


প্রিন্ট