ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না Logo দৌলতপুরে বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo চট্রগ্রামের মহানগরে জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনের গনসংযোগ Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে আলোচিত রণজিৎ হত্যার পলাতক আসামি গ্রেফতার

দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষে সাফল্য পেয়েছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতার করতে সক্ষম  হয়েছে গোপালগঞ্জের আলোচিত ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ রণজিৎ রায় হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী মিল্টন খান (৪০)।

 

রণজিৎ রায় গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ৮ ৩০ মিনিটের সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মানিকহার মালোপাড়ায় খুন হয়। মৃত রণজিৎ রায় স্থানীয় একটি মন্দিরের পূজারী ছিলেন।

 

হত্যা কান্ডের পর এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছিল চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই মিল্টন খান এবং শিপন খান  নৃশংসভাবে হত্যা করে রণজিৎ রায়কে। পরবর্তিতে পুলিশের তদন্তেও হত্যা কান্ডের একই বর্ণনা ফুটে উঠেছিল।

 

এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ২০২৩ সালের দূর্গাপূর্জার মাত্র কয়েকদিন পূর্বে হওয়ায় স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার মত উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তৎকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান তার বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ নিসংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

 

এই ঘটনায় পরের দিন ১৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/৫০৬ ধারায় পেনাল কোড মামলা রুজু হয়। মামলা নং- ১৩, তারিখ- ১৩-১০-২০২৩।

 

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, হত্যাকান্ডের মূল আসামী মিল্টন খাঁন (৪০) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই মামলার পূর্বে তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি সহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনার পরপরই আসামী মিল্টন খান এবং শিপন খান পালিয়ে যায়। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেও তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।

 

এছাড়াও আসামীরা মোবাইল ব্যবহারও বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ২নং আসামী শিপন খান মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। আসামী মিল্টন খান পেশাদার অপরাধী হওয়ায় কোনভাবেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেও আসামী মিল্টন খানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই।

 

 

গতকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ গোপালগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন পুখুরিয়া এলাকা হতে ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মিন্টন খান (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মিল্টন খানের গ্রেফতারের সংবাদে স্থানীয়দে মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না

error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে আলোচিত রণজিৎ হত্যার পলাতক আসামি গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষে সাফল্য পেয়েছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতার করতে সক্ষম  হয়েছে গোপালগঞ্জের আলোচিত ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ রণজিৎ রায় হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী মিল্টন খান (৪০)।

 

রণজিৎ রায় গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ৮ ৩০ মিনিটের সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মানিকহার মালোপাড়ায় খুন হয়। মৃত রণজিৎ রায় স্থানীয় একটি মন্দিরের পূজারী ছিলেন।

 

হত্যা কান্ডের পর এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছিল চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই মিল্টন খান এবং শিপন খান  নৃশংসভাবে হত্যা করে রণজিৎ রায়কে। পরবর্তিতে পুলিশের তদন্তেও হত্যা কান্ডের একই বর্ণনা ফুটে উঠেছিল।

 

এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ২০২৩ সালের দূর্গাপূর্জার মাত্র কয়েকদিন পূর্বে হওয়ায় স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার মত উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তৎকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান তার বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ নিসংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

 

এই ঘটনায় পরের দিন ১৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/৫০৬ ধারায় পেনাল কোড মামলা রুজু হয়। মামলা নং- ১৩, তারিখ- ১৩-১০-২০২৩।

 

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, হত্যাকান্ডের মূল আসামী মিল্টন খাঁন (৪০) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই মামলার পূর্বে তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি সহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনার পরপরই আসামী মিল্টন খান এবং শিপন খান পালিয়ে যায়। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেও তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।

 

এছাড়াও আসামীরা মোবাইল ব্যবহারও বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ২নং আসামী শিপন খান মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। আসামী মিল্টন খান পেশাদার অপরাধী হওয়ায় কোনভাবেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেও আসামী মিল্টন খানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই।

 

 

গতকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ গোপালগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন পুখুরিয়া এলাকা হতে ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মিন্টন খান (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মিল্টন খানের গ্রেফতারের সংবাদে স্থানীয়দে মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।