ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪

উপজেলা নির্বাচন আলোচনায় ময়না-জাহাঙ্গীর

রাজশাহীতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগামা হাওয়া।জেলার ৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অর্ধশতাধিক প্রার্থী তৎপরতা শুরু করেছেন। সিংহভাগ প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে দলের নীতিনির্ধারণী মহলে দেন-দরবার শুরু করছেন। বিগত ২০১৮ সালের জাতীয়  সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি। ফলে নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যেকারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের  দুটি উপজেলা নির্বাচনে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারো তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না  এবং গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে দলের সমর্থিত প্রার্থী করা হচ্ছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধূরীর রাজনৈতিক দূরদর্শীতায়  আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এবং গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনাকালীন সময়ে তানোর উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ময়না-জাহাঙ্গীর ছুটে চলেছেন। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর আহবানে সাড়া দিয়ে তার  বিশস্ত্ব দুই প্রতিনিধি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও জাহাঙ্গীর আলম সাধারণ মানুষের কাছেও আস্থা ও ভরসার প্রতিক হয়ে উঠেন। করোনা ভাইরাস দুর্যোগে তারা মানবতার রানার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় দিনরাত অবিরাম ছুটে চলেছেন। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার একপ্রান্ত  থেকে অন্যপ্রান্ত সবপ্রান্তেই তাদের সরব উপস্থিতি করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিল।
স্থানীয় সাংসদের নিজস্ব তহবিল পাশাপাশি তারাও তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে নিজে নিরাপদ থেকে অন্যকে নিরাপদ রাখতে কি করনীয় সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে জনসচেতনা সৃস্টির লক্ষ্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং সবাইকে এগিয়ে আশার আহবান জানিয়েছেন। তাদের সেই অবদানের কথা সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আবারো তাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।এদিকে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের মহপরিকল্পনা ঘোষণা দিয়ে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই দুই তরুণ নেতৃত্ব। আগামী দিনে তাদের হাতেই নেতৃত্ব নিরাপদ থাকবে তাই তারাই আগামী দিনে আবারো স্বপদে বহাল থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের বিজয় ঠেকাতে এমপি ফারুকবিরোধী শিবির আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের কেউ কেউ আবার বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে থেকে ধার-দেনা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে, চাকরি ও গভীর নলকুপের অপারেটর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আহরণ করে মাঠে প্রার্থী দিতে তৎপরতা হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপির বিশস্ত এবং আদর্শিক দুই সৈনিক ময়না ও জাহাঙ্গীর আলমের বিকল্প নাই। তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ময়নার বিপক্ষে এখানো কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে মাঠেঘাটে, অলিগলি ও চিপা-চাপায় দু’এক জনের বগী আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ওদিকে গোদাগাড়ী উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলমের বিপক্ষে একাধিক প্রার্থী তৎপর হয়েছে। কিন্তু দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তরুণ শিল্পপতি বেলাল উদ্দিন সোহেল ব্যতিত অন্যদের তেমন কোনো জনসমর্থন বা কর্মী বাহিনী নাই। তবে তিনি বয়সে তরুণ ও দলে নবাগত নেতৃত্ব, তার সামনে আরো অনেক সময় রয়েছে। তাকে সমর্থন দিলে দলের প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাকে এবার দলের সমর্থন না দেবার কথা শোনা যাচ্ছে। এসব বিবেচনায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হচ্ছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস এর গণহত্যা দিবস আজ

error: Content is protected !!

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪

উপজেলা নির্বাচন আলোচনায় ময়না-জাহাঙ্গীর

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
রাজশাহীতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগামা হাওয়া।জেলার ৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অর্ধশতাধিক প্রার্থী তৎপরতা শুরু করেছেন। সিংহভাগ প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে দলের নীতিনির্ধারণী মহলে দেন-দরবার শুরু করছেন। বিগত ২০১৮ সালের জাতীয়  সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি। ফলে নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যেকারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের  দুটি উপজেলা নির্বাচনে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারো তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না  এবং গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে দলের সমর্থিত প্রার্থী করা হচ্ছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধূরীর রাজনৈতিক দূরদর্শীতায়  আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এবং গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনাকালীন সময়ে তানোর উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ময়না-জাহাঙ্গীর ছুটে চলেছেন। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর আহবানে সাড়া দিয়ে তার  বিশস্ত্ব দুই প্রতিনিধি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও জাহাঙ্গীর আলম সাধারণ মানুষের কাছেও আস্থা ও ভরসার প্রতিক হয়ে উঠেন। করোনা ভাইরাস দুর্যোগে তারা মানবতার রানার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় দিনরাত অবিরাম ছুটে চলেছেন। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার একপ্রান্ত  থেকে অন্যপ্রান্ত সবপ্রান্তেই তাদের সরব উপস্থিতি করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিল।
স্থানীয় সাংসদের নিজস্ব তহবিল পাশাপাশি তারাও তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে নিজে নিরাপদ থেকে অন্যকে নিরাপদ রাখতে কি করনীয় সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে জনসচেতনা সৃস্টির লক্ষ্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং সবাইকে এগিয়ে আশার আহবান জানিয়েছেন। তাদের সেই অবদানের কথা সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আবারো তাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।এদিকে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের মহপরিকল্পনা ঘোষণা দিয়ে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই দুই তরুণ নেতৃত্ব। আগামী দিনে তাদের হাতেই নেতৃত্ব নিরাপদ থাকবে তাই তারাই আগামী দিনে আবারো স্বপদে বহাল থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের বিজয় ঠেকাতে এমপি ফারুকবিরোধী শিবির আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের কেউ কেউ আবার বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে থেকে ধার-দেনা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে, চাকরি ও গভীর নলকুপের অপারেটর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আহরণ করে মাঠে প্রার্থী দিতে তৎপরতা হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপির বিশস্ত এবং আদর্শিক দুই সৈনিক ময়না ও জাহাঙ্গীর আলমের বিকল্প নাই। তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ময়নার বিপক্ষে এখানো কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে মাঠেঘাটে, অলিগলি ও চিপা-চাপায় দু’এক জনের বগী আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ওদিকে গোদাগাড়ী উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলমের বিপক্ষে একাধিক প্রার্থী তৎপর হয়েছে। কিন্তু দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তরুণ শিল্পপতি বেলাল উদ্দিন সোহেল ব্যতিত অন্যদের তেমন কোনো জনসমর্থন বা কর্মী বাহিনী নাই। তবে তিনি বয়সে তরুণ ও দলে নবাগত নেতৃত্ব, তার সামনে আরো অনেক সময় রয়েছে। তাকে সমর্থন দিলে দলের প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাকে এবার দলের সমর্থন না দেবার কথা শোনা যাচ্ছে। এসব বিবেচনায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হচ্ছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।