ঢাকা , রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে হাতিয়ার শত শত ঘরবাড়ি হারা মানুষের মানবেতর জীবনযাপন Logo মুকসুদপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানকে গার্ড অব অনার প্রদান Logo আমতলীতে স্কুল মিল্ক ফিডিং কর্মসূচি উদ্বোধন Logo তানোরে আদিবাসি নারী ধর্ষণের ঘটনা ধাঁমাচাঁপা Logo ঈশ্বরদী লিচু ভাঙ্গা শ্রমিক নারীরা মজুরী পাচ্ছে কম Logo স্বামীর ছুরিকাঘাতে ঈশ্বরদীতে নারী গার্মেন্টসকর্মী খুন Logo বাঘায় ট্রাকের ধাক্কায় ছাত্রী আহত Logo লালপুরে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মোটরযান প্রশিক্ষণ এন্ড ইজিবাইক সার্ভিস লিমিটেডের শুভ উদ্বোধন Logo মাগুরাতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত Logo নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সামসুল আলম চৌধুরীকে ‌চকবাজার বণিক সমিতির সংবর্ধনা প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাবার আহাজারি

আমার এ বৃদ্ধ বয়সে উপার্জনের জন্য এই ছেলেটাই ছিল, সেটাও চলে গেল

হামলার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের (৩৮) নিহতের পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। সঞ্জয় নেই, তা যেন মানতেই পারছেন না তাঁর মা–বাবা। ছেলেকে খোঁজে ফিরছেন তাঁরা।

পূর্ববিরোধের জের ধরে গত ২আগষ্ট বুধবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলা খাদ্যগুদাম এলাকায় ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গেলে সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুজন কর্মী আহত হন। গত  ৯ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মােট ৮ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সঞ্জয়ের নিহতের ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুরে ডাকবাংলোর সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান। সেখানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম (ছানা)।

এ সময় সেখানে কাঁদতে কাঁদতে হাজির হন সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের বাবা দুলাল প্রামাণিক ও তাঁর মা। অঝোরে কাঁদছিলেন তাঁরা। নিহত সঞ্জয়ের বাবা দুলাল প্রামাণিক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বুকটা (সঞ্জয় কুমার) নাই, আমি কী নিয়ে নিজেকে বুঝ দিব, বুকটা চলে গেল।

 

এ সময় দুলাল প্রামাণিকের স্ত্রী শাড়ির আঁচল দিয়ে স্বামীর চোখের পানি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দুলাল প্রামাণিক বললেন, ‘আজ আমি রিকশা–ভ্যান চালি ছেলে মানুষ বড় করেছি। আমার সব হারায় গেল। বহু কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করেছিলাম, কী নিয়ে থাকব। আমার এ বৃদ্ধ বয়সে উপার্জনের জন্য এই ছেলেটাই ছিল, সেটাও চলে গেল।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সঞ্জয় কুমারের মা বলছিলেন, ‘ছেইলি কুনঠি হারায় গেল, কোন রাস্তা দিয়ে গেল, কে নিল আমার ছেলেকে, কী করে দিল, একটুও রাখল না।

সঞ্জয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেল, সঞ্জয়রা দুই ভাই ও এক বোন। সবাই বিবাহিত। সঞ্জয় পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীর নাম বীথি রানী দে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে হাতিয়ার শত শত ঘরবাড়ি হারা মানুষের মানবেতর জীবনযাপন

error: Content is protected !!

নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাবার আহাজারি

আমার এ বৃদ্ধ বয়সে উপার্জনের জন্য এই ছেলেটাই ছিল, সেটাও চলে গেল

আপডেট টাইম : ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

হামলার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের (৩৮) নিহতের পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। সঞ্জয় নেই, তা যেন মানতেই পারছেন না তাঁর মা–বাবা। ছেলেকে খোঁজে ফিরছেন তাঁরা।

পূর্ববিরোধের জের ধরে গত ২আগষ্ট বুধবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলা খাদ্যগুদাম এলাকায় ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গেলে সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুজন কর্মী আহত হন। গত  ৯ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মােট ৮ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সঞ্জয়ের নিহতের ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুরে ডাকবাংলোর সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান। সেখানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম (ছানা)।

এ সময় সেখানে কাঁদতে কাঁদতে হাজির হন সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের বাবা দুলাল প্রামাণিক ও তাঁর মা। অঝোরে কাঁদছিলেন তাঁরা। নিহত সঞ্জয়ের বাবা দুলাল প্রামাণিক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বুকটা (সঞ্জয় কুমার) নাই, আমি কী নিয়ে নিজেকে বুঝ দিব, বুকটা চলে গেল।

 

এ সময় দুলাল প্রামাণিকের স্ত্রী শাড়ির আঁচল দিয়ে স্বামীর চোখের পানি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দুলাল প্রামাণিক বললেন, ‘আজ আমি রিকশা–ভ্যান চালি ছেলে মানুষ বড় করেছি। আমার সব হারায় গেল। বহু কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করেছিলাম, কী নিয়ে থাকব। আমার এ বৃদ্ধ বয়সে উপার্জনের জন্য এই ছেলেটাই ছিল, সেটাও চলে গেল।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সঞ্জয় কুমারের মা বলছিলেন, ‘ছেইলি কুনঠি হারায় গেল, কোন রাস্তা দিয়ে গেল, কে নিল আমার ছেলেকে, কী করে দিল, একটুও রাখল না।

সঞ্জয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেল, সঞ্জয়রা দুই ভাই ও এক বোন। সবাই বিবাহিত। সঞ্জয় পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীর নাম বীথি রানী দে।