ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত Logo হাতিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত Logo চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক Logo নড়াইল পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ, চলছে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে ভাঙছে বসতভিটা, ফসলী জমি, বিভিন্ন স্থাপনা

ঝুঁকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর

ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙছে সদরপুরের গ্রামের পর গ্রাম। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি নদীগুলোতে প্রবল স্রোত তৈরীর কারণে ভেঙে যাচ্ছে ফসলী জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সরেজমিন ঘুড়ে দেখা যায়, পদ্মানদীতে ভাঙছে উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের আকটের হাট সংলগ্ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী এখানেই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর রয়েছে যেখানে শতাধিক ছিন্নমূল পরিবার বসবাস করে।

সেখান থেকে পদ্মানদী মাত্র ৫শ মিটার দূরে অবস্থান করছে। আরও ভাঙছে ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রাম, শয়তানখালীর চর। নাড়িকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কাচিকাটা গ্রাম, চরনাসিরপুর ইউনিয়নের ফকির কান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি গ্রাম। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর স্রোতে উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজ কান্দি, চরগজারিয়া, গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রাম ভাঙছে।

আকটেরচর খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরপ্রাপ্ত রিনা বেগম জানান, সরকার আমাদের ভালই দিছিল, ভাল ছিলাম। কিন্তু পদ্মায় তো সব নিয়া যাইব।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সদরপুরের কিছু কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও নদীর ভাঙনরোধে কোথাও কোথাও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান নয় বলে জানান স্থানীয়রা।

দিয়ারা নাড়িকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন সরদার জানান, আড়াই কিলোমিটার জুড়ে পদ্মায় ভাঙনরোধ আছে। গত ২ বছরে ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রোকন উদ্দিন জানান- সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আবু এহসান মিয়া জানান, পানি বিপদসীমার নীচে আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি- এই কাজ চলমান রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে ভাঙছে বসতভিটা, ফসলী জমি, বিভিন্ন স্থাপনা

আপডেট টাইম : ১২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
মোঃ হুমায়ুন কবির তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী ভাঙছে সদরপুরের গ্রামের পর গ্রাম। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি নদীগুলোতে প্রবল স্রোত তৈরীর কারণে ভেঙে যাচ্ছে ফসলী জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সরেজমিন ঘুড়ে দেখা যায়, পদ্মানদীতে ভাঙছে উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের আকটের হাট সংলগ্ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী এখানেই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর রয়েছে যেখানে শতাধিক ছিন্নমূল পরিবার বসবাস করে।

সেখান থেকে পদ্মানদী মাত্র ৫শ মিটার দূরে অবস্থান করছে। আরও ভাঙছে ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রাম, শয়তানখালীর চর। নাড়িকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কাচিকাটা গ্রাম, চরনাসিরপুর ইউনিয়নের ফকির কান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি গ্রাম। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর স্রোতে উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজ কান্দি, চরগজারিয়া, গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রাম ভাঙছে।

আকটেরচর খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরপ্রাপ্ত রিনা বেগম জানান, সরকার আমাদের ভালই দিছিল, ভাল ছিলাম। কিন্তু পদ্মায় তো সব নিয়া যাইব।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সদরপুরের কিছু কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও নদীর ভাঙনরোধে কোথাও কোথাও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান নয় বলে জানান স্থানীয়রা।

দিয়ারা নাড়িকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন সরদার জানান, আড়াই কিলোমিটার জুড়ে পদ্মায় ভাঙনরোধ আছে। গত ২ বছরে ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রোকন উদ্দিন জানান- সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আবু এহসান মিয়া জানান, পানি বিপদসীমার নীচে আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি- এই কাজ চলমান রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট