ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় সেই বাল্য বিয়ের ইতালি প্রবাসী যুবক আশরাফুল আলমের বউ নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু

মাগুরার সেই ইটালি সিটিজেন যুবক আশরাফুল আলম জোর করে বাল্য বিয়ে করায় দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর মুখের উপর থুথু মেরে বিয়ে করে দম্ভ করা যুবক আশরাফুল আলম বউ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধন্না দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পাতি কিছু নেতা ও সাংবাদিকদের শাসিয়ে কোন লাভ হয়নি।
মাগুরা উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানার পর সদর থানার এসআই ইব্রাহিম হোসেনকে বাল্য বিয়ের তদন্ত ভার দায়িত্ব প্রদান করেন। সদর থানার এসআই ইব্রাহিম জানান, আশরাফুল আলম নামে ইটালি প্রবাসী ছুটিতে আসা যুবক পালিয়ে তথ্য গোপন করে এ্যাফিডেভিট করে আজমপুর গ্রামের গোলাম ছরোয়ার মোল্লার মেয়ে উর্মি খাতুন কে বাল্য বিয়ে করেছে।
এদিকে আশরাফুল আলমের বিয়ের ব্যাপারে জগদল ইউনিয়নের কাজি আশরাফ জানান, আমি ঐ বিয়ে পড়ায়নি। একটা দুষ্ট চক্র এসব ঝামেলার বিয়ে করে থাকেন, বাল্য বিয়ে আমি পড়াই না। আমি আরো ধরে পুলিশের সহযোগীতা করি সে সুনাম আমার আছে।
এদিকে আশরাফুলের ভাই পশু ডাক্তার হুমায়ুন কবির রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সুপারিশ করছে। সন্ধ্যায় চাপড়া গ্রামে এসে বলে বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কেউ কিছু করতে পারবেনা।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জানান, আমার জগদল ইউনিয়ন বাল্য বিবাহ নিরসনে সরকারি ভাবে বিআরডিবির ক্লাস্টার অন্তর্ভুক্ত, এই ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের কোন সুযোগ নাই। আর কোন মেয়ের পরিবার বয়স নিয়ে চালাকি করলে আমি সরকারি বিধি মোতাবেক আইনের সর্বোচ্চ একশন নিবো।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরায় সেই বাল্য বিয়ের ইতালি প্রবাসী যুবক আশরাফুল আলমের বউ নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু

আপডেট টাইম : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরার সেই ইটালি সিটিজেন যুবক আশরাফুল আলম জোর করে বাল্য বিয়ে করায় দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর মুখের উপর থুথু মেরে বিয়ে করে দম্ভ করা যুবক আশরাফুল আলম বউ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধন্না দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পাতি কিছু নেতা ও সাংবাদিকদের শাসিয়ে কোন লাভ হয়নি।
মাগুরা উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানার পর সদর থানার এসআই ইব্রাহিম হোসেনকে বাল্য বিয়ের তদন্ত ভার দায়িত্ব প্রদান করেন। সদর থানার এসআই ইব্রাহিম জানান, আশরাফুল আলম নামে ইটালি প্রবাসী ছুটিতে আসা যুবক পালিয়ে তথ্য গোপন করে এ্যাফিডেভিট করে আজমপুর গ্রামের গোলাম ছরোয়ার মোল্লার মেয়ে উর্মি খাতুন কে বাল্য বিয়ে করেছে।
এদিকে আশরাফুল আলমের বিয়ের ব্যাপারে জগদল ইউনিয়নের কাজি আশরাফ জানান, আমি ঐ বিয়ে পড়ায়নি। একটা দুষ্ট চক্র এসব ঝামেলার বিয়ে করে থাকেন, বাল্য বিয়ে আমি পড়াই না। আমি আরো ধরে পুলিশের সহযোগীতা করি সে সুনাম আমার আছে।
এদিকে আশরাফুলের ভাই পশু ডাক্তার হুমায়ুন কবির রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সুপারিশ করছে। সন্ধ্যায় চাপড়া গ্রামে এসে বলে বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কেউ কিছু করতে পারবেনা।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম জানান, আমার জগদল ইউনিয়ন বাল্য বিবাহ নিরসনে সরকারি ভাবে বিআরডিবির ক্লাস্টার অন্তর্ভুক্ত, এই ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের কোন সুযোগ নাই। আর কোন মেয়ের পরিবার বয়স নিয়ে চালাকি করলে আমি সরকারি বিধি মোতাবেক আইনের সর্বোচ্চ একশন নিবো।

প্রিন্ট