ঢাকা , রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ Logo লুঙ্গি গেঞ্জি মাস্ক পরে যান বিমানবন্দরে Logo ভারত থেকে অবৈধভাবে ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ১০ বাংলাদেশী আটক Logo গোমস্তাপুরে বিদ্যুতের পোল থেকে পড়ে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মৃত্যু Logo নলছিটিতে “অপারেশন ডেভিল হান্ট”ঃ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ গ্রেফতার ২ নেতা Logo বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী Logo নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo লালপুরে সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে সিডিএ আটক Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গোয়ালন্দে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুমারখালী অক্সিজেন দিতে দেরি হওয়ায় নার্সকে পেটালেন রোগীর স্বজন

রোগীর শরীরে অক্সিজেন লাগাতে দেরি হওয়ায় স্বজনদের বিরুদ্ধে নার্সকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই নার্সের বাম হাতের কনুইয়ের হাড় সরে গেছে। শনিবার (৩ মে) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

আহত নার্সের নাম মোছা. রিক্তা খাতুন (৩৫)। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাস মো. আল আমিন। তিনি কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা।

তবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৮) নিজ বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার স্ত্রীকে অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের নার্সরা দ্রæত অক্সিজেন না দিয়ে অলস বসে ছিলেন। তিনি নার্সদের অক্সিজেন লাগাতে বললে তারা (নার্স) ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় নার্সদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে তিনি কাউকে মারেননি।

জানতে চাইলে আহত নার্স রিক্তা খাতুন বলেন, তিনি খুব অসুস্থ। তিনি এখন কারো সঙ্গে কোনো কথা বলতে চান না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, রোগীর কাছে স্বজনদের খুব ভিড় ছিল। চিকিৎসা শুরুর আগেই আকস্মিকভাবে রোগীর স্বামী ও স্বজনরা নার্সদের মারপিট শুরু করেন। একজন নার্সের গুরুতর আঘাত রয়েছে। তিনি থানা-পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন। আর রোগীকে সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

তার ভাষ্যমতে, কাগজে কলমে ৫০ শয্যা হলেও জনবল কাঠামো রয়েছে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের। প্রতিদিনই রোগীর খুব চাপ থাকে। শনিবার ৮৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তবে ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা বা অভিযোগ ছিল না।

থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

error: Content is protected !!

কুমারখালী অক্সিজেন দিতে দেরি হওয়ায় নার্সকে পেটালেন রোগীর স্বজন

আপডেট টাইম : ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

রোগীর শরীরে অক্সিজেন লাগাতে দেরি হওয়ায় স্বজনদের বিরুদ্ধে নার্সকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই নার্সের বাম হাতের কনুইয়ের হাড় সরে গেছে। শনিবার (৩ মে) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

আহত নার্সের নাম মোছা. রিক্তা খাতুন (৩৫)। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাস মো. আল আমিন। তিনি কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা।

তবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৮) নিজ বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার স্ত্রীকে অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের নার্সরা দ্রæত অক্সিজেন না দিয়ে অলস বসে ছিলেন। তিনি নার্সদের অক্সিজেন লাগাতে বললে তারা (নার্স) ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় নার্সদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে তিনি কাউকে মারেননি।

জানতে চাইলে আহত নার্স রিক্তা খাতুন বলেন, তিনি খুব অসুস্থ। তিনি এখন কারো সঙ্গে কোনো কথা বলতে চান না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, রোগীর কাছে স্বজনদের খুব ভিড় ছিল। চিকিৎসা শুরুর আগেই আকস্মিকভাবে রোগীর স্বামী ও স্বজনরা নার্সদের মারপিট শুরু করেন। একজন নার্সের গুরুতর আঘাত রয়েছে। তিনি থানা-পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন। আর রোগীকে সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

তার ভাষ্যমতে, কাগজে কলমে ৫০ শয্যা হলেও জনবল কাঠামো রয়েছে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের। প্রতিদিনই রোগীর খুব চাপ থাকে। শনিবার ৮৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তবে ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা বা অভিযোগ ছিল না।

থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


প্রিন্ট