রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির গুরুচন্ডী গ্রামে অকাল প্রয়াত সংগীত শিল্পী আজমল হোসেন স্মরণে রবিবার (১৬ এপ্রিল) দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের সংগীত শিল্পী আজমল হোসেন (৫৩) গত ১৪ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যশাই ইউপির গুরুচন্ডী গ্রামের বাড়ীতে আকস্মিক ভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ওইদিন সকালে পাংশা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আজমল হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফিরেই আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
জানা যায়, এলাকায় জনপ্রিয় একজন সংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণী সংগীত শিল্পী আজমল হোসেনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাংশা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, মুক্তকলম সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে।
মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগের মুহুর্তে পাংশা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তার পরিবেশিত সংগীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে শোক ও স্মৃতিচারণ করে শ্রদ্ধা জানায় অনেকে। ওইদিন (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যারাতে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী যশাই ইউপির গুরুচন্ডী গ্রামে অকাল প্রয়াত সংগীত শিল্পী আজমল হোসেনের বাড়ীতে ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের পক্ষে শিল্পীর পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।
এদিকে, সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আজমল হোসেনের স্মরণে ১৬ এপ্রিল তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাজী মো. ইব্রাহিম হোসেন। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
প্রিন্ট