ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo মোঃ ইমান আলী মোল্লাকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করল জাতীয় শ্রমিক লীগ Logo রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন Logo ফরিদপুরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত Logo রোহিঙ্গা পরিস্থিতিঃ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা ও আরাকান আর্মি Logo কালুখালীতে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিকরন কর্মশালা Logo চেয়ারম্যান পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে টোকন চৌধুরী Logo নরসিংদীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ৩ ও আহত ২ Logo বাগমারা উপজেলা নির্বাচনে এগিয়ে সান্টু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে গোসলে নেমে দুজনের মৃত্যু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, কোথায় দুর্নীতি দেখানঃ -প্রধানমন্ত্রী

-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমূলক। কোথায় কত টাকা দুর্নীতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে হবে। তাহলে তিনি এর জবাব দেবেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে মোকাব্বির খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান একটি সম্পূরক প্রশ্নে মেগা প্রকল্প ও কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

মোকাব্বিরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে হচ্ছে, আমাদের সংসদ সদস্য বিরোধী দলে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যেসমস্ত অভিযোগ তিনি এনেছেন তা সম্পূর্ণ অমুলক। তিনি মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন। এই মেগা প্রকল্পের সুবিধাভোগী কারা? এদেশের সাধারণ মানুষ। এই মেগা প্রকল্প অন্য কোনো সরকার করতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তো পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এটা শুধু আমার কথা নয়, কানাডার ফেডারেল কোর্টের মামলার রায়েই বলা হয়েছে- সকল অভিযোগ মিথ্যা। সেক্ষেত্রে কীভাবে বললেন, দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশে। দুর্নীতি যদি সত্য হত, তাহলে এত অল্প সময়ে এসব প্রজেক্টের কাজ কি শেষ হত?

মোকাব্বির খানকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশের নাগরিক। উনার একটা সেকেন্ড হোমও আছে। সেই সেকেন্ড হোম অর্থাৎ ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম দেড়শ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে ভোগ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিদ্যুত সাশ্রয় করা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় হলে জরিমানা কর করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সেই অবস্থা নয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কুই্ক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো এনেছিলাম বলেই আমরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছিলাম। এখন আমরা প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। কুইক রেন্টালে যদি দুর্নীতি হত, তাহলে তো এত বিদ্যুৎ দিতে পারার কথা ছিল না। বিএনপির আমলে বিদ্যুতে দুর্নীতি হয়েছিল বলেই বিশ্ব ব্যাংক টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে দুর্নীতি করেছিল বলেই সেই টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের আমলে সেটা হয়নি। যেখানে বড় বড় মহারথীরা আমাদের দুর্নীতির খোঁজ পায়নি। সেখানে কিছু লোক ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছেন- কুইক রেন্টাল, কুইক রেন্টাল!

মোকাব্বিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে মাননীয় সম্পূরক প্রশ্নকর্তাকে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- কোথায়, কত দুর্নীতি হয়েছে? সেই কথাটা তাকে এখানে স্পষ্ট বলতে হবে। যার জবাব আমি দেব।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, কোথায় দুর্নীতি দেখানঃ -প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমূলক। কোথায় কত টাকা দুর্নীতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে হবে। তাহলে তিনি এর জবাব দেবেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে মোকাব্বির খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান একটি সম্পূরক প্রশ্নে মেগা প্রকল্প ও কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

মোকাব্বিরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে হচ্ছে, আমাদের সংসদ সদস্য বিরোধী দলে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যেসমস্ত অভিযোগ তিনি এনেছেন তা সম্পূর্ণ অমুলক। তিনি মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন। এই মেগা প্রকল্পের সুবিধাভোগী কারা? এদেশের সাধারণ মানুষ। এই মেগা প্রকল্প অন্য কোনো সরকার করতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তো পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এটা শুধু আমার কথা নয়, কানাডার ফেডারেল কোর্টের মামলার রায়েই বলা হয়েছে- সকল অভিযোগ মিথ্যা। সেক্ষেত্রে কীভাবে বললেন, দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশে। দুর্নীতি যদি সত্য হত, তাহলে এত অল্প সময়ে এসব প্রজেক্টের কাজ কি শেষ হত?

মোকাব্বির খানকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশের নাগরিক। উনার একটা সেকেন্ড হোমও আছে। সেই সেকেন্ড হোম অর্থাৎ ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম দেড়শ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে ভোগ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিদ্যুত সাশ্রয় করা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় হলে জরিমানা কর করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সেই অবস্থা নয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কুই্ক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো এনেছিলাম বলেই আমরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছিলাম। এখন আমরা প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। কুইক রেন্টালে যদি দুর্নীতি হত, তাহলে তো এত বিদ্যুৎ দিতে পারার কথা ছিল না। বিএনপির আমলে বিদ্যুতে দুর্নীতি হয়েছিল বলেই বিশ্ব ব্যাংক টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে দুর্নীতি করেছিল বলেই সেই টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের আমলে সেটা হয়নি। যেখানে বড় বড় মহারথীরা আমাদের দুর্নীতির খোঁজ পায়নি। সেখানে কিছু লোক ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছেন- কুইক রেন্টাল, কুইক রেন্টাল!

মোকাব্বিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে মাননীয় সম্পূরক প্রশ্নকর্তাকে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- কোথায়, কত দুর্নীতি হয়েছে? সেই কথাটা তাকে এখানে স্পষ্ট বলতে হবে। যার জবাব আমি দেব।