ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আদালতে করা একটি মামলায় সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে আলফাডাঙ্গা থানার উপপুলিশ পরির্দশক (এসআই) সুমন বাসাকের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন মামলার অভিযুক্ত চান্দড়া গ্রামের আহম্মদ কাজীসহ অন্য অভিযুক্তরা।
তাঁদের দাবি, প্রতিবেদনে যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, আসলে তা ঘটেনি। অবশ্য ওই তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, যথাযথভাবেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শেখর ইউপি চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, চরম ভোগান্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী
মামলার অভিযুক্ত আহম্মদ কাজী ও তাঁর পরিবারের দাবি, চান্দড়া গ্রামের বাদশা কাজীর সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই আহম্মদ কাজীসহ অভিযুক্তদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ২৩ মে জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২৪ মে ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নম্বর আমলি আদালতে বাদশা কাজী বাদী হয়ে ভয়ভীতি, মারধর, স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ চাচাতো ভাই আহম্মদ কাজী, তাঁর সহদোর দিনো কাজীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সুমন বাসক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠান।
অভিযুক্ত আহম্মদ কাজীর দাবি, তদন্ত প্রতিবেদনে যে বিবরণ দেয়া হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ঘটনাস্থলে না গিয়েই আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এমন হয়রানির বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইউপি আ’লীগের সহসভাপতি শাহাদাৎসরদার বলেন, ‘মারামারি কিংবা ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মামলায় বাদশা কাজী তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও জামাতাকে স্বাক্ষী করেছেন। তাঁরা এলাকায নয়, থাকেন ঢাকা।’
ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাবুল আলম তপুসহ অনেকে জানান, ‘তাঁদের এলাকায় এ জাতীয় কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এসআই সুমন বাসক এলাকায় সরেজমিন তদন্ত না করেই আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর।’
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত বিচার দাবীতে আন্দোলনের ডাক
এ বিষয়ে মামলার বাদী বাদশা কাজীর বক্তব্য জানতে বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী সালকা বেগম বলেন, তাঁরা সঠিক ঘটনা নিয়েই আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক সুমন বসাক বলেন,স্বাক্ষীদের জিজ্ঞেসাবাদসহ অভিযোগের ব্যাপারে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। প্রতিবেদনটি আসামিদের পছন্দ না হলে তাঁরা আদালতে প্রমাণ করবেন।
প্রিন্ট