রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব নারায়নপুরে চন্দনা নদীর ধারে অবস্থিত পাংশা আদি মহাশ্মশানের অফিস কক্ষ ও নাট মন্দির সংলগ্ন রাধা গোবিন্দ মন্দিরে বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই দিনগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ১৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে মন্দিরের পুরহিত অনিমেষ চক্রবর্তী চুরির বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনার বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আদি মহাশ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন তিনি। খবর পেয়ে পাংশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানা পুলিশ এবং পাংশা আদি মহাশ্মাশান কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাংশা আদি মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সরেজমিন শুক্রবার ১৫ জুলাই দুপুরে মন্দিরের পুরহিত অনিমেষ চক্রবর্তী জানান, প্রতিদিনের মত গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পূজার কাজ শেষে মন্দির ও বাউন্ডারি ওয়ালের প্রধান প্রবেশপথের গেটের তালা লাগিয়ে পৌরসভার মৈশালা এলাকার নিজ বাড়িতে চলে যান তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মহাশ্মশানের গেটের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে তিনি একে একে মহাশ্মশানের অফিস কক্ষ, অফিস ভবনের দ্বিতীয় তলার কক্ষ, নাট মন্দির, নাট মন্দির সংলগ্ন রাধা গোবিন্দ মন্দির ও পাশের ভোগের ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং এলোমেলো অবস্থায় কিছু জিনিসপত্র দেখেন। কে বা কাহারা ১টি নতুন সিলিং ফ্যান, ১টি দেওয়াল ঘড়ি, ১টি ব্যাটারি চার্জার, ভোগের থালা বাসন, ১টি বড় পিতলের জয়ঘন্টা, পিতলের পঞ্চপ্রদীপসহ পূজার অন্যান্য উপকরণ চুরি করে নিয়ে গেছে। সব মিলে পিতলের প্রায় ৪০-৪৫ কেজি জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে জানান মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় আদি মহাশ্মাশান কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর, সহসভাপতি নিখিল কুমার দত্ত, সহসাধারণ সম্পাদক তপন রায়, মহাশ্মশান কমিটির সাবেক সভাপতি অনিল বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুন্ডু, অলোক দাস, সঞ্জয় প্রামানিক ও অসীম দাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের বার ছিনতাই; এএসআই সহ আটক-২
পুরহিত অনিমেষ চক্রবর্তী আরো জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের যে কোন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বছরেও পাংশা আদি মহাশ্মশানের মধ্যে দুইবার চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
পাংশা আদি মহাশ্মাশান কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর জানান, আগে মহাশ্মাশানে নৈশ প্রহরী ছিল। পরে নানান কারণে নৈশ্য প্রহরী থাকেনি।
পাংশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা বলেন, চুরির ঘটনায় তথ্য অনুসন্ধান চলছে। অপরাধ প্রবণতা রোধে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রিন্ট