ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সুব্রত কুমার দাস (৩৫) ও মাইক্রোবাস চালক মনির হোসেন মঞ্জু (৪০) নামে দুইজন খুলনাগামী দিগন্ত পরিবহন ও ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মল্লিকপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ডা. সুব্রত কুমার দাস বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের সুবাস চন্দ্র দাসের ছেলে ও মাইক্রোবাস চালক মনির হোসেন মঞ্জু উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামের আ. সালাম মোল্যার ছেলে। করিমপুর হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রীকে মারাত্বক আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছেন।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাইক্রোবাস যোগে হোমিওপ্যাথিক কলেজের হতাহত শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা আনার জন্য বোয়ালমারী হতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টায় ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মল্লিকপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা খুলনাগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা চারজনের মধ্যে ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সুব্রত কুমার দাস (৩৫) ও মাইক্রোবাস চালক মনির হোসেন মঞ্জু (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মাইক্রোবাসে থাকা অপর দুই যাত্রী ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. প্রণয় কান্তি লস্কর এবং আলফাডাঙ্গা কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. সমীর কুমার বালা দুর্ঘটনায় মারাত্বক আহত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাতক বাসটির চালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
প্রিন্ট