আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) জুমারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান। এখানো বিদ্যালয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয়ে আসবাবপত্র, কম্পিউটার ল্যাব, একাডেমিক ভবন, শহীদ মিনার, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও মাঠ ভরাটের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অভিভাবক মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জুমারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিলো।কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে তা হয়নি।অথচ রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে,যা এখন না করলেও সমস্যা ছিলনা।
জানা গেছে, বিগত ১৯৯৮ সালে বাধাইড় ইউপির জুমারপাড়ায় জুমারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং ২০০৪ সালে এমপিও ভুক্তকরণ হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষক ১২ জন ও কর্মচারী রয়েছে ৫ জন এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় দুশ’ জন। গত শিক্ষাবর্ষে ৩৩ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়েছে পাশের হার শতভাগ। চলতি শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষা দিবেন প্রায় ২৮ জন।
জানা গেছে, জুমারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাধাইড় ইউপির প্রত্যন্ত পল্লী এলাকায় বাড়ির কাছে ছেলে- মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। বিশেষ করে আদিবাসি অধ্যুাষিত এলাকার পিছিয়ে পড়া মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। কি ভাবে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণ অবিরাম সেই প্রচেষ্টা করে চলেছেন।
এদিকে নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকটের পরেও বিদ্যালয়ে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে। দীর্ঘদিন যাবত পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউরেকা বেগম বলেন, তাদের একটা একাডেমিক ভবন, প্রাচীর নির্মাণ ও মাঠ ভরাট অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলে তারা শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বেশী অবদান রাখতে পারবেন।
প্রিন্ট