রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউপির কাদোর বিলে গত শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর বরশি দিয়ে মাছ শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয়রা। প্রতিযোগিতাটি উৎসবে পরিণত হয়। কিন্তু বিকেল ৫টার দিকে প্রতিযোগিতার শেষ মুহুর্তে গোলাবাড়ির কারিগর পাড়ার হানেফ লস্করের ভাই জিয়া লস্কর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সেখানে গোলাবাড়ী গ্রামের চাঁদ আলী বিশ্বাসের ছেলে সজল বিশ্বাস (১৬) কে মারধর করে জিয়া লস্কর।
মারধরের শিকার সজল বিশ্বাস পাংশা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার দিনগত রাত ৮টার দিকে মোটর সাইকেল যোগে পিতা চাঁদ আলী বিশ্বাসের (৬৫) সাথে বাড়ি ফেরার পথে পাংশা-বাগদুলীবাজার সড়কের মালঞ্চি ব্রিজের উপর প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। প্রতিপক্ষের হানেফ লস্কর, জিয়া লস্কর ও তোফা লস্করসহ তার সমর্থিত লোকজন এ হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই হামলায় গুরুতর আহত চাঁদ আলী বিশ্বাস ও তার ছেলে সজল বিশ্বাসকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাট্টা ইউপি কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (লুলু বিশ্বাস) জানান, তারা কাদোর বিলে বরশি দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আয়োজন শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হানেফ লস্করের ভাই জিয়া লস্কর বিশৃঙ্খলা ঘটায়। গভীর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তিনি আগে বুঝতে পারেন নাই।
লুলু বিশ্বাস আরও বলেন- পাট্টার বিল, মুছিদহ কাদোর বিল ও গোলাবাড়ি বিল উন্মুক্ত করা হয়েছে। সরকারীভাবে এসব বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। উন্মুক্ত বিলে কেহ জবরদখল করে মাছ শিকার করতে পারবে না। একটি স্বার্থন্বেষীমহল পূর্বেরমত জোর করে বিল থেকে মাছ ধরার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাঁদ আলী বিশ্বাস ও তার ছেলে সজল বিশ্বাস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। গোলাবাড়ি বনগ্রামের মৃত আফসার বিশ্বাসের ছেলে চাঁদ আলী বিশ্বাস বলেন, প্রথম দফায় গোলযোগের বিষয়ে আপোষের কথা হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেলে সজলকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
ফেরার পথে মালঞ্চি ব্রিজের উপর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাদের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। হানেফ লস্কর, জিয়া লস্কর ও তোফা লস্করসহ তার সমর্থিত লোকজন এ হামলার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিন্ট