এস এম রবিউল ইসলাম রুবেলঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সিও এনজিও শাখার আরএমও (রিজিওনাল ম্যানেজমেন্ট অফিসার) মহিউদ্দিন নাঈমের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কাছ থেকে লোন দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের রেনীনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী হাবিব হোসেনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর সিও এনজিও থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ নেন। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঋণ পরিশোধও করেন তারা। পরে তারা আবার তিন লাখ টাকার ঋণের জন্য আবেদন করলে আরএমও মহিউদ্দিন নাঈম শর্ত দেন, ঋণ অনুমোদনের আগে ‘মিষ্টি খাওয়ার জন্য’ তাকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে।
ভুক্তভোগী হাবিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আমরা আগে সিও থেকে লোন নিয়েছি, সব টাকা পরিশোধও করেছি। এবার তিন লাখ টাকার লোন চাইলে আরএমও সরাসরি ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমরা অস্বীকার করলে তিনি ঋণ অনুমোদন না দিয়ে গালাগাল করেন। ঘুষ না দেয়ায় আমার সৌদি যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে গেল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
একই অভিযোগ করে নুরুন্নাহার বেগম জানান, “লোন দেয়ার আগে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়। আমরা রাজি হইনি। পরে তারা লোনও দেয়নি, উপরন্তু আমার স্বামীকে অপমানজনক ভাষায় গালাগাল করেছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরএমও মহিউদ্দিন নাঈমকে ফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ভুক্তভোগী গ্রাহককে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি দাবি করেন, “২২ বছর ধরে চাকরি করছি। আমি কারো কাছ থেকে কখনো ঘুষ নিইনি। অভিযোগ করায় ওই গ্রাহককে লোন দেব না।”
সিও শাখা ব্যবস্থাপক মিন্টু রহমান বলেন, “আমরা প্রকল্প দেখে ঋণ অনুমোদন করি। আবেদনকারীর প্রকল্প সঠিক পাওয়া যায়নি, তাই লোন দেয়া হয়নি। ঘুষের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আরএমওর গ্রাহককে গালাগালের ঘটনাটি ঠিক হয়নি, তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন এটি করা ঠিক হয়নি।”
প্রিন্ট