ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নাচোল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটি ছাড়াই ১৬ দিন অনুপস্থিত Logo ছাত্র সংসদের দাবিতে বেরোবিতে আমরণ অনশন শিক্ষার্থীদের Logo হাউলিতে কৃষকদের জন্য AWD ও পানি সাশ্রয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর কমিটি গঠনঃ আহবায়ক ফরিদ রেজা, সদস্য সচিব আবুল হাসেম Logo নাটোরের বড়াইগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু Logo নড়াইলে সরকারি খাল দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা ও পুত্র ওসির প্রভাব খাঁটিয়ে মৎস্য খামার গড়ার অভিযোগ Logo রংপুরে শিশুকে হত্যার পর বালি চাপা Logo ফরিদপুরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, সদরপুরে নিখোঁজ যুবকের পরিবারের দাবি লাশ রেদোয়ানের Logo খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মেজর-এসপিকে, অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতাই হাতিয়ার Logo কালুখালীতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রংপুরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

নাঈম ইসলামঃ

 

রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি নারী কর্মচারী আনজুমান বানু (৬৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরমান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃস্পতিবার দুপুরে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

 

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশি পাহারায় তাঁকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

 

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল হাদি বেলাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আনজুমান বানুর নির্মম হত্যাকাণ্ড সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা ন্যায়বিচারের একটি মাইলফলক এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা আরও মজবুত করবে।’

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মক্কেল আরমান আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সেটি ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেওয়া। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

 

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৯ মে রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় নিজ বাসায় আনজুমান বানুকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আনজুমান বানু ছিলেন ভূমি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ঘটনার সময় তিনি বাসায় একাই ছিলেন।

 

পরদিন নিহতের জামাতা এনায়েত হোসেন মহন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরমান আলী এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

 

পাঁচ বছর ধরে চলা এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

 

রায় শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ছিল চরম নির্মম। দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পেরে আমরা তৃপ্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্বস্তি অনুভব করছে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাচোল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটি ছাড়াই ১৬ দিন অনুপস্থিত

error: Content is protected !!

রংপুরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
নাঈম ইসলাম, সদর উপজেলা (রংপুর) প্রতিনিধি :

নাঈম ইসলামঃ

 

রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি নারী কর্মচারী আনজুমান বানু (৬৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরমান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃস্পতিবার দুপুরে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

 

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশি পাহারায় তাঁকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

 

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল হাদি বেলাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আনজুমান বানুর নির্মম হত্যাকাণ্ড সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা ন্যায়বিচারের একটি মাইলফলক এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা আরও মজবুত করবে।’

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মক্কেল আরমান আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সেটি ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেওয়া। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

 

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৯ মে রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় নিজ বাসায় আনজুমান বানুকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আনজুমান বানু ছিলেন ভূমি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ঘটনার সময় তিনি বাসায় একাই ছিলেন।

 

পরদিন নিহতের জামাতা এনায়েত হোসেন মহন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরমান আলী এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

 

পাঁচ বছর ধরে চলা এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

 

রায় শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ছিল চরম নির্মম। দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পেরে আমরা তৃপ্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্বস্তি অনুভব করছে।’


প্রিন্ট