ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় Logo বাঘায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী চাঁদের মতবিনিময় Logo শিবগঞ্জে চোখ উপড়ে পাহারাদারকে হত্যা Logo মধুখালীতে সাংবাদিক সাগর চক্রবর্তীর মোটরসাইকেল চুরি Logo বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা  Logo বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য পালশা ডে নাইট শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল Logo কালুখালীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo তানোরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু Logo হিলিতে বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত-১আহত হয়েছে ৬ জন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদারের শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদার। বয়স ৮৫ বছর। বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ হয়ে দুই বছরের অধিক সময় শয্যাশায়ী।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এদেশ কে মুক্ত করার লক্ষে যুদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। নয় মাসের যুদ্ধের পর পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছিলাম বাংলাদেশের।  ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, ৩ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা, লাল সবুজের একটি মানচিত্র।

দীর্ঘকালের এই যুদ্ধে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করেছিলেন অথবা যুদ্ধকালীণ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল যুগিয়ে সংগঠিত করে রেখেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম একজন মহম্মদপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদার।

তার সাথে সরাসরি কথা বলে জানা যায় অনেক অজানা কথা, অজানা ব্যথা, অজানা ইচ্ছে। তাকে দেখতে আসা শুভাকাঙ্খিদের যুদ্ধের ইতিহাস শুনিয়ে পার করছেন অবসর আর কৌতুহলী হচ্ছে ইতিহাস শ্রবণকারী সাধারন মানুষ। জীবনের অনেক ইচ্ছায় পুরন হয়েছে তার। সায়াহ্নে এসে তার শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করা।

কিছুদিন আগেও রুস্তম শিকদার নিজের বিছানা থেকে একা উঠে এসে বারান্দার চেয়ারে বসতে পারতেন। তবে এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না।

এজন্য সব সময় তার পাশে থাকেন সহধর্মিনী ছবিরন নেছা। স্বামীর সেবা শুশ্রুষা করতে তিনিও খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক রোস্তম শিকদারের বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ধুপুড়িয়া গ্রামের মধুমতি নদী বিধৌত থানা পাড়া এলকায়। ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক তিনি।

ছেলেরা সবাই স্বাবলম্বী ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছেলেরা পিতার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও তাকে নেওয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।

বর্তমানে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারনে এখন আর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার মত অবস্থা না থাকায় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখেই তার দেখভাল করা হচ্ছে।

রোস্তম আলী শিকদার দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে জানান,  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এলাকার যুবকদের সুসংগঠিত করে  ভারতে প্রশিক্ষণ করতে পাঠাতেন। বিশেষ করে নদীয়া চাপড়া ক্যাম্প থেকে স্বপ্লকালীন প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনে অনুপ্রেরণা দেওয়া হত। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমার বাড়িতে  অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছিল।  এখানে বিভিন্ন এলাকার যুদ্ধ করতে উৎসাহী যুবকদের একত্রিত করে যুদ্ধের কৌশল শেখানোসহ ও জরুরী পরামর্শ দেওয়া হত।

১৯ নভেম্বর ১৯৭১। স্বাধীনতার ইতিহাসে এই দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন পাক সেনাদের সাথে মহম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

এ যুদ্ধে আহম্মদ হোসেন ও মহম্মদ হোসেন নামে আপন দুই সহদরসহ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙ্গালী সৈনিক মহম্মদ আলী পাকিস্থানী সেনাদের গুলিতে নিহত হন। এই দিনটি মহম্মদপুর বাসীর কাছে স্মরনীয় ও ঐতিহাসিক।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধ মহম্মদপুর যুদ্ধ নামে পরিচিত। আর এই যুদ্ধের মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রুস্তম শিকদার। অন্যদিকে তার ছিল ব্যাপক রাজনৈতিক দুরদর্শীতা। তিনি মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দু:সময়ে অন্যতম পথিক হিসেবে পাশে দাড়িয়ে সংগঠনকে সহযোগিতা করেছেন। এবং বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে নেতা-কর্মীদের কাছে সমাদৃত হয়েছেন।

তার এই ক্রান্তিলগ্নে তার খোঁজ খবর নিতে বিভিন্ন সময়ে তার পাশে এসে দাড়িয়েছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য আ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিঁখর, মাগুরা-২ আসনের সাংসদ ড. শ্রী বীরেন শিকদার, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল কাফীসহ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

আজ রবিবার দুপুরে সময়ের প্রত্যাশা  প্রতিবেদকের সাথে দুই ঘন্টার বেশী সময় কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রোস্তম আলী শিকদারের সাথে। অনেক কথা, অনেক ইতিহাস আড়ষ্ঠ কণ্ঠে ব্যক্ত করেন তিনি। অবশেষে একটি কথা তিনি বলেন, আমার জীবনের প্রায় সব ইচ্ছা পুরণ হয়েছে।

আমার শেষ ইচ্ছা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার। এবং ভোরের ডাক এর মাধ্যমেই তিনি এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে চান। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন,  রোস্তম আলী শিকদার কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন; তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

স্থানীয় এমপি বীরেন শিকদার বলেন, আমি সব সময় তার খোঁজ খবর রাখছি। মাঝে মধ্যেই তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসি। সবচে বড় কথা আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি এবং আমার মনোনয়নপত্রে চারবারই তিনি প্রস্তাবকারী হয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরাতে অভিযোজন কৃষি চর্চা বাড়াতে কৃষি ফসল ও সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

error: Content is protected !!

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদারের শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার

আপডেট টাইম : ১০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
মোঃ শফিকুল ইসলাম জীবন, মহম্মদপুর, মাগুরা প্রতিনিধিঃ :

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদার। বয়স ৮৫ বছর। বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ হয়ে দুই বছরের অধিক সময় শয্যাশায়ী।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এদেশ কে মুক্ত করার লক্ষে যুদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। নয় মাসের যুদ্ধের পর পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছিলাম বাংলাদেশের।  ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, ৩ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা, লাল সবুজের একটি মানচিত্র।

দীর্ঘকালের এই যুদ্ধে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করেছিলেন অথবা যুদ্ধকালীণ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল যুগিয়ে সংগঠিত করে রেখেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম একজন মহম্মদপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী শিকদার।

তার সাথে সরাসরি কথা বলে জানা যায় অনেক অজানা কথা, অজানা ব্যথা, অজানা ইচ্ছে। তাকে দেখতে আসা শুভাকাঙ্খিদের যুদ্ধের ইতিহাস শুনিয়ে পার করছেন অবসর আর কৌতুহলী হচ্ছে ইতিহাস শ্রবণকারী সাধারন মানুষ। জীবনের অনেক ইচ্ছায় পুরন হয়েছে তার। সায়াহ্নে এসে তার শেষ ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করা।

কিছুদিন আগেও রুস্তম শিকদার নিজের বিছানা থেকে একা উঠে এসে বারান্দার চেয়ারে বসতে পারতেন। তবে এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না।

এজন্য সব সময় তার পাশে থাকেন সহধর্মিনী ছবিরন নেছা। স্বামীর সেবা শুশ্রুষা করতে তিনিও খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক রোস্তম শিকদারের বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ধুপুড়িয়া গ্রামের মধুমতি নদী বিধৌত থানা পাড়া এলকায়। ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক তিনি।

ছেলেরা সবাই স্বাবলম্বী ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছেলেরা পিতার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও তাকে নেওয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।

বর্তমানে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারনে এখন আর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার মত অবস্থা না থাকায় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখেই তার দেখভাল করা হচ্ছে।

রোস্তম আলী শিকদার দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে জানান,  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এলাকার যুবকদের সুসংগঠিত করে  ভারতে প্রশিক্ষণ করতে পাঠাতেন। বিশেষ করে নদীয়া চাপড়া ক্যাম্প থেকে স্বপ্লকালীন প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনে অনুপ্রেরণা দেওয়া হত। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমার বাড়িতে  অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছিল।  এখানে বিভিন্ন এলাকার যুদ্ধ করতে উৎসাহী যুবকদের একত্রিত করে যুদ্ধের কৌশল শেখানোসহ ও জরুরী পরামর্শ দেওয়া হত।

১৯ নভেম্বর ১৯৭১। স্বাধীনতার ইতিহাসে এই দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন পাক সেনাদের সাথে মহম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

এ যুদ্ধে আহম্মদ হোসেন ও মহম্মদ হোসেন নামে আপন দুই সহদরসহ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙ্গালী সৈনিক মহম্মদ আলী পাকিস্থানী সেনাদের গুলিতে নিহত হন। এই দিনটি মহম্মদপুর বাসীর কাছে স্মরনীয় ও ঐতিহাসিক।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধ মহম্মদপুর যুদ্ধ নামে পরিচিত। আর এই যুদ্ধের মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রুস্তম শিকদার। অন্যদিকে তার ছিল ব্যাপক রাজনৈতিক দুরদর্শীতা। তিনি মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দু:সময়ে অন্যতম পথিক হিসেবে পাশে দাড়িয়ে সংগঠনকে সহযোগিতা করেছেন। এবং বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে নেতা-কর্মীদের কাছে সমাদৃত হয়েছেন।

তার এই ক্রান্তিলগ্নে তার খোঁজ খবর নিতে বিভিন্ন সময়ে তার পাশে এসে দাড়িয়েছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য আ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিঁখর, মাগুরা-২ আসনের সাংসদ ড. শ্রী বীরেন শিকদার, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল কাফীসহ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

আজ রবিবার দুপুরে সময়ের প্রত্যাশা  প্রতিবেদকের সাথে দুই ঘন্টার বেশী সময় কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রোস্তম আলী শিকদারের সাথে। অনেক কথা, অনেক ইতিহাস আড়ষ্ঠ কণ্ঠে ব্যক্ত করেন তিনি। অবশেষে একটি কথা তিনি বলেন, আমার জীবনের প্রায় সব ইচ্ছা পুরণ হয়েছে।

আমার শেষ ইচ্ছা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার। এবং ভোরের ডাক এর মাধ্যমেই তিনি এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে চান। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন,  রোস্তম আলী শিকদার কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন; তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

স্থানীয় এমপি বীরেন শিকদার বলেন, আমি সব সময় তার খোঁজ খবর রাখছি। মাঝে মধ্যেই তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসি। সবচে বড় কথা আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি এবং আমার মনোনয়নপত্রে চারবারই তিনি প্রস্তাবকারী হয়েছেন।


প্রিন্ট