নুরুল ইসলামঃ
সারা দেশের ন্যায় পৌষ মাসের কনকনে শীতের প্রভাব পরেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায়। কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হালকা বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড় কিনতে সাধারন মানুষ ভীড় করছেন ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানে। বিশেষ করে নিম্ম আয়ের মানুষের ভীড় বেশী দেখা যাচ্ছে এসব দোকান গুলোতে।
উপজেলার আটরশি মোড়ে ফুটপাতে বসেছে ১৫/২০ টি অস্থায়ী পুরাতন শীত বস্ত্রের দোকান। এসব দোকানে স্বল্প মুল্যে রকমারী শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শীতের পুরাতন কাপড় বেচাকেনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এসব দোকানে ১০০ থেকে শুরু করে ৫০০/১০০০ টাকায় শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
আটরশি মোড়ের ফুটপাতের কাপড় ব্যাবসায়ী আজম খান বলেন, আমাদের কাছে পুরাতন বেল্টের মাল। দেশী বিদেশী সব ধরনের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
আরেক ব্যাবসায়ী সরোয়ার হোসেন বলেন, বছরে তিন মাস আমরা এই পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রি করি। শুরুতে তেমন বেচাকেনা না হলেও কয়েকদিনের তীব্র শীতে আমাদের দোকানে ভীড় বেড়েছে।
ফুটপাতে হুডি, মোটা গেঞ্জি, সোয়াটার,জ্যাকেট, শর্ট কোর্ট,লেদার জ্যাকেট,মেয়েদের কার্ডিগান, বেলবেড জ্যাকেট, শিশুদের শীতের পোশাক, কানটুপি, মাফলার, মোজা সহ বিভিন্ন ধরনের পুরানো শীত বস্ত্র নিয়ে ফুটপাতে বসেছেন এসব ব্যাবসায়ীরা।
ফুটপাত থেকে শীতের পোশাক কিনতে আসা অটো চালক রাজু বলেন, একটা জ্যাকেট কিনেছি ৩০০/ টাকায়। এটায় এবছর শীত পার করে দিব। আমাদের মত গরীব মানুষদের ফুটপাত থেকে কেনা ভাল দাম কম।
আরেক শ্রমজীবি রোকন বলেন,বাচ্চার জন্য দরদাম করে ১৫০ টাকায় একটা সুয়েটার কিনেছি। ধুয়ে একটু আয়রন করলেই নতুনের মত হয়ে যাবে। আমাদের মত শ্রমজীবিদের ফুটপাতই ভরশা।
সদরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তার পাশে ফুট পাতের দোকানদার আমীর হোসেন বলেন, এবছর একমাস দেরীতে বেচা কেনা শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে সব বয়সী মানুষের পোশাক আছে। তিনি জানান শীত যত বাড়বে বেচা বিক্রিও তত বাড়বে।
প্রিন্ট

সদরপুরে নিম্ম আয়ের মানুষের ভীড় বাড়ছে ফুটপাতের পুরানো শীতবস্ত্রের দোকানে 
নুরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি 




















