রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুরে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় ৩৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ৩৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাত মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না । কবে পাবেন সে বিষয় নেই কোন নির্ভরযোগ্য উত্তর। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, অসহায় গরিব মানুষের চিকিৎসা, গর্ভবতী ও প্রসূতি, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই, কিশোর-কিশোরী ও নববিবাহিত দম্পতিদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলার ৩৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩৩ জন সিএইচসিপি (স্বাস্থ্যকর্মী) নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু গত বছরের জুন মাস থেকে সিএইচসিপিদের বেতন বকেয়া রয়েছে। ঢাকায় আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২০ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দেয় এবং গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে।
তারপরও গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকল্প খাত কিংবা রাজস্ব খাত থেকে কোনো বেতন-ভাতা ছাড় করা হয়নি। এ বিষয়ে বড়বাদকয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বিউটি খাতুন বলেন, “আমি প্রতি মাসে ক্লিনিকে ৩/৪ জন প্রসূতি মায়ের স্বাভাবিক ডেলিভারি করিয়ে থাকি। ২০১৭ সালে গোপালপুর বাজারে রাস্তার ওপর অসহায় এক গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক ডেলিভারি করিয়েছিলাম। পুরস্কারও পেয়েছিলাম। এখনো গরীব মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু গত সাত মাস ধরে কোন বেতন পাইনি। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা ও অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। পেটে ভাত নেই। অতি দ্রুত আমাদের বেতন ছাড়ের দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার এ কে এম শাহাব উদ্দিন বেতন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সারা দেশব্যাপী সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ আছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হবে।”
প্রিন্ট