ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় চালের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা কমাতে চালকল মালিকদের সাথে জরুরি সভা করেছে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে মিনিকেট নামধারী চালসহ সব ধরনের চিকন চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা। আমনের ভরা মৌসুমে চালের এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে চালকল মালিকদের সঙ্গে তার সভাকক্ষে জরুরি এ বৈঠক করেন।
বৃহত্তর চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের গুটিকয়েক মিল মালিক করপোরেট চাল কম্পানির সঙ্গে মিল রেখে দফায় দফায় চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং তারাই দীর্ঘ প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে মিনিকেট নামধারী চিকন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান এ সভার আহ্বান করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রার্থ প্রতীম শীল, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ওয়াজিউর রহমান, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান, বাংলাদেশ অটো রাইচ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমএ খালেক, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধানসহ খাজানগরের অর্ধ শতাধিক চালকল মালিক, সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার বৈঠকে শেষে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের অনুরোধে চালকল মালিকরা বৃহস্পতিবার থেকে আপাতত দুই সপ্তাহের জন্যে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাজার পরিস্থিতি বুঝে ১৪ দিন পর আবার বৈঠক করে কী করণীয় হবে তা নির্ধারণ করা হবে বলে সবাই একমত হন।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে চালকল মালিকদের সঙ্গে কৃষি অফিসারের বক্তব্যের অনেক ফারাক। তারপরেও চালকল মালিকরা আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের চাল কেজিতে ১ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিনিয়ত কুষ্টিয়ার বাজারে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বেড়ে চলেছে। গত এক সপ্তাহ আগের ৭০ টাকার মিনিকেট চার টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, বাসমতি ৮৮ টাকা থেকে বেড়ে ৯২ টাকা, কাজললতা ৬৬ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, আঠাশ চাল ৫৪ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
এ ছাড়া চালকল মালিকদের ধান ও চালের মজুদের বিষয়ে কোনো গরমিল পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট