ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কালুখালীতে কথিত বিএনপি নেতার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ Logo মাগুরাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে গ্রেফতার ১ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নবজাতক কুড়িয়ে পেলো নিঃসন্তান দম্পতি Logo গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর রূপগঞ্জে এখনো চাঁদাবাজি চলছেঃ -ভিপি নূর Logo বাংলা সাহিত্যে নজরুলই প্রথম সাম্যের গান গেয়েছেন Logo চট্রগ্রামে প্রেমের ফাদে ফেলে প্রতারনা, গ্রেপ্তার Logo বাঘায় উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo খোকসা বাজারে জুয়েলার্সের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি Logo পাংশায় হিজিবিজি চর্চা কেন্দ্রে কারাতে বেল্ট গ্রেডিং পরীক্ষা ও বেল্ট প্রদান অনুষ্ঠিত Logo বাঘায় দুইদিন ব্যাপি গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা

-প্রতীকী ছবি।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই এএসআই নিহতের ঘটনায় মামলা করার পর আসামি ধরতে গিয়ে আবারও পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কুমারখালী থানায় দায়ের করা দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের হামলায় আসামি তরুন শেখ (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে, তবে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে বেড় কালোয়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন নিখোঁজ হন। পরে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর এসআই নজরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ইয়ারুল শেখসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। অপরদিকে, কয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম ৩৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

স্থানীয়রা জানান, প্রধান আসামি ইয়ারুলের সহযোগী মাহাবুল পালিয়ে ছিলেন। পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে কালোয়া গ্রামের কুদু শেখের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের লোকজন মাহাবুলকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে গেলে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়। রাতে পুলিশ অভিযানে গেলে আসামি পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে। এই সংঘর্ষে তরুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন।

 

স্থানীয়রা জানান, কয়া এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়ারুল শেখ ও সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গত সংসদ নির্বাচনের পরের দিন হামলায় খালেক মেম্বারের সমর্থকরা ইয়ারুলের ভাইকে হত্যা করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে খালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

 

গুলিবিদ্ধ তরুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, তিনি জানের ভয়ে চাচার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খালেকের দুই ছেলে রিপন ও শিপনের নেতৃত্বে ২০ জন তাকে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা তার চাচাতো ভাইকে মারধর করতে এলে তিনি বাধা দিতে যান এবং হামলাকারীরা তাকে গুলি করে।

 

 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তারা আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়েছে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পুলিশের জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কালুখালীতে কথিত বিএনপি নেতার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা

আপডেট টাইম : ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই এএসআই নিহতের ঘটনায় মামলা করার পর আসামি ধরতে গিয়ে আবারও পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কুমারখালী থানায় দায়ের করা দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের হামলায় আসামি তরুন শেখ (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে, তবে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে বেড় কালোয়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন নিখোঁজ হন। পরে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর এসআই নজরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ইয়ারুল শেখসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। অপরদিকে, কয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম ৩৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

স্থানীয়রা জানান, প্রধান আসামি ইয়ারুলের সহযোগী মাহাবুল পালিয়ে ছিলেন। পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে কালোয়া গ্রামের কুদু শেখের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের লোকজন মাহাবুলকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে গেলে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়। রাতে পুলিশ অভিযানে গেলে আসামি পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে। এই সংঘর্ষে তরুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন।

 

স্থানীয়রা জানান, কয়া এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়ারুল শেখ ও সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গত সংসদ নির্বাচনের পরের দিন হামলায় খালেক মেম্বারের সমর্থকরা ইয়ারুলের ভাইকে হত্যা করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে খালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

 

গুলিবিদ্ধ তরুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, তিনি জানের ভয়ে চাচার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খালেকের দুই ছেলে রিপন ও শিপনের নেতৃত্বে ২০ জন তাকে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা তার চাচাতো ভাইকে মারধর করতে এলে তিনি বাধা দিতে যান এবং হামলাকারীরা তাকে গুলি করে।

 

 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তারা আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়েছে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পুলিশের জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


প্রিন্ট