সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরের সামনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হয়। মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরে একজন কর্মকর্তা স্বারকলিপি গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন হত্যা বন্ধ করতে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে চেপে বসা অপশক্তির অবৈধ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে এবং তাদের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান ভলকার টুর্ক বরাবর দেওয়া স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারী-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে গত ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকারপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে।
তিনি দেশত্যাগের পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী অপশক্তির অবৈধ সরকারের দোসররা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মিথ্যা মামলা, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা, নৈরাজ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলছে। বাংলাদেশে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নাই।
স্বারকলিপি দাতারা আরো বলেন, “আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করি। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আছেন, ওখানে আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বাংলাদেশে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বিনা কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আপনাদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অভিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করুন।”
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ছিল বক্তব্য পর্ব। এতে সভাপতিত্ব করেন, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম ও সঞ্চালনা করেন, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান। প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক সাজিদুল ইসলাম ফারুক, ইতালি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাদিউল ইসলাম হাদী,সাধারন সস্পাদক হাসান ইকবাল, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সালে আহমেদ,সাধারন সস্পাদক মাইনুল ইসলাম, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন মজুমদার,সাধারন সস্পাদক মাহবুবুর রহমান,যুগ্ম সাধারন সস্পাদক নাঈম উদ্দিন খান, স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আর এস আই রবিন,সাধারন সস্পাদক রিছভী আলম, গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক বাবুল হাওলাদার, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ বুলু, মনির হোসেন পলিন, অষ্টিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ,সাধারন সস্পাদক অরিয়ান শ্যামল, জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক আব্বাস চৌধুরী, পোল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,যুগ্ম সাধারন সস্পাদক নান্নু শেখ, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাফিক উল্লাহ ও মহসিন ভুইয়া,
সুইডেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনজুরুল হাসান মন্জু প্রমূখ।
এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ইতালি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মান, স্পেন, গ্রীস, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, হল্যান্ড, মাল্টা, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়াশিয়া আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট