আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সেক্টরে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজেও ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কলেজটিতে ৩ বার ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তন করার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পূর্বের ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তন করে দৌলতপুর কলেজে নতুন এডহক কমিটি গঠনের জন্য চিঠি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গভর্নিং বডি গঠন সংক্রান্ত অধিভুক্ত সকল কলেজ/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে গভর্নিং বডি (সংশোধন) সংবিধি ২০১৯ এর ৭ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দৌলতপুর কলেজের এডহক কমিটি পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. আজিজুল হককে পরিবর্তন করে সভাপতি হিসাবে বিএনপি নেতা হাজি আলতাফ হোসেনকে এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য ফজলুর রহমানকে পরিবর্তন করে মোহা. আলাউদ্দিনকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে মনোনীত করা হয়। নতুন এই কমিটির মেয়াদকাল ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত (পূর্ণাঙ্গ) গভর্নিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সর্ব প্রথমে এডহক কমিটির সভাপতি আমানুল হককে একইভাবে পরিবর্তন করে তার ছোট ভাই আজিজুল হককে সভাপতি এবং ফজলুর রহমানকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সময় এই কলেজে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট হাসানুল আসকার হাসু।
এদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর তিন বার দৌলতপুর কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও পরিবর্তনের ঘটনা নিয়ে কলেজটির শিক্ষক ও অভিভাবক মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটিকে অনেকে নাটকীয় ঘটনা মনে করছেন। আবার অনেকে হাস্যকর ঘটনা হিসাবে দেখছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে বারবার ম্যানেজিং কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয় তার সদুত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক রাজধানী ঢাকার দুটি কলেজসহ সারাদেশে মোট পাঁচটি কলেজকে মডেল কলেজ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত দৌলতপুর কলেজও মডেল কলেজ হিসাবে স্বীকৃতি পায়। খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ এই মডেল কলেজটির দিকে নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট অনেকের। মনোমুগ্ধকর সুবিশাল কলেজ ক্যাম্পাস অনেক মানুষের কাছে এক ধরনের বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়ে উঠেছে। অনেক মানুষ অবসর সময় কাটাতে কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন।
প্রিন্ট