ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ Logo কুষ্টিয়ায় অপহরণের শিকার সেই শিশু এখন মায়ের কোলে Logo দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০টি কলেজের পাস করেনি কেউ Logo আল্ট্রাসনোগ্রাম-ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার নষ্ট, বাড়তি খরচ রোগীদের Logo যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতির সঙ্গে সজাগ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত Logo ফরিদপুর সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন প্রকল্পের উদ্যোগে ফরিদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo মাগুরার শালিখা উপজেলার মদ্যপানে দুই যুবকের মৃত্যু, অসুস্থ এক Logo বোয়ালমারীর বিলচাপাদাহে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়মনীতি ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক

ঠাকুরগাঁও জেলা গঠিত ৫ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ছাড়া অন্য ৪ টি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। এসব উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় কাজে আসেন ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে। ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। সরকারি এ চিকিৎসালয় ছাড়াও ঠাকুরগাঁও শহরে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক। এগুলোর বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব প্রতিষ্ঠানে চলছে চিকিৎসাসেবা। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় তালিকাভুক্ত বে-সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৬৬টি।

 

এর মধ্যে হাসপাতাল ৩৭টি এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ১২৯টি। নিয়ম মেনে পরিচালনা না করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২২টি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো নবায়ন করা হয়েছে ২০১৮-২০১৯ থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের আগে। অনুসন্ধানে ৫ টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনোটির নবায়ন করা লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। পৌরশহরের কয়েকটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা একজন ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ও নার্স থাকার কথা থাকলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। অনুমোদনের চেয়ে রাখা হয়েছে বেশি শয্যা। অস্ত্রোপচারের সময় ডেকে আনা হয় চিকিৎসক।

 

একই উপকরণ ব্যবহার করা হয় অধিকাংশ অস্ত্রোপচারে। অনেক সময় থিয়েটারে থাকেন আয়া বা ওটি বয়। তারা সেলাই করার কারণে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় রোগীকে। পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে বোনকে সিজারিয়ান অপারেশন করিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বোনের সিজার করার পর পেটে গজ রেখে দিয়েছিল। পরে ইনফেকশন হয়। দিনাজপুর গিয়ে আবার পুনরায় অপারেশন করাতে হয়েছিল। শরিফুল ইসলাম নামে একজন বলেন, শহরের হাসান জেনারেল হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করিয়েছি। তাদের সঙ্গে ১৩ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল। অপারেশন শেষে তারা ১৮ হাজার ২০০ টাকা চান এবং খারাপ আচরণ করেন।

 

এ ঘটনায় আমি ভোক্তা অধিকারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই মাম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী বাবলু বলেন, আমরা টাকা জমা দিয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নবায়ন হবে আশা করছি। বে-সরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ সামসুজ্জোহা চৌধুরী বলেন, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কয়েক অর্থবছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

 

 

ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে অধিদপ্তরে কথা বলেছি। যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন নেই, এবং অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে চলে না সেগুলো বন্ধ করে দেব।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ

error: Content is protected !!

ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়মনীতি ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতনিধি :

ঠাকুরগাঁও জেলা গঠিত ৫ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ছাড়া অন্য ৪ টি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। এসব উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় কাজে আসেন ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে। ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। সরকারি এ চিকিৎসালয় ছাড়াও ঠাকুরগাঁও শহরে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক। এগুলোর বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব প্রতিষ্ঠানে চলছে চিকিৎসাসেবা। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় তালিকাভুক্ত বে-সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৬৬টি।

 

এর মধ্যে হাসপাতাল ৩৭টি এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ১২৯টি। নিয়ম মেনে পরিচালনা না করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২২টি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো নবায়ন করা হয়েছে ২০১৮-২০১৯ থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের আগে। অনুসন্ধানে ৫ টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনোটির নবায়ন করা লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। পৌরশহরের কয়েকটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা একজন ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ও নার্স থাকার কথা থাকলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। অনুমোদনের চেয়ে রাখা হয়েছে বেশি শয্যা। অস্ত্রোপচারের সময় ডেকে আনা হয় চিকিৎসক।

 

একই উপকরণ ব্যবহার করা হয় অধিকাংশ অস্ত্রোপচারে। অনেক সময় থিয়েটারে থাকেন আয়া বা ওটি বয়। তারা সেলাই করার কারণে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় রোগীকে। পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে বোনকে সিজারিয়ান অপারেশন করিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বোনের সিজার করার পর পেটে গজ রেখে দিয়েছিল। পরে ইনফেকশন হয়। দিনাজপুর গিয়ে আবার পুনরায় অপারেশন করাতে হয়েছিল। শরিফুল ইসলাম নামে একজন বলেন, শহরের হাসান জেনারেল হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করিয়েছি। তাদের সঙ্গে ১৩ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল। অপারেশন শেষে তারা ১৮ হাজার ২০০ টাকা চান এবং খারাপ আচরণ করেন।

 

এ ঘটনায় আমি ভোক্তা অধিকারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই মাম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী বাবলু বলেন, আমরা টাকা জমা দিয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নবায়ন হবে আশা করছি। বে-সরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ সামসুজ্জোহা চৌধুরী বলেন, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কয়েক অর্থবছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

 

 

ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে অধিদপ্তরে কথা বলেছি। যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন নেই, এবং অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে চলে না সেগুলো বন্ধ করে দেব।