রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলাধীন বহরপুর এলাকার নিজেকে সুশীল দাবী করা ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডল বাড়ির পাশের সংখ্যালঘু স্বপন কুমার কুন্ডুর জমি হাতিয়ে নিতে না পেরে জেলা পরিষদের সম্পত্তি দাবী করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখত অভিযোগ দেন।তবে জেলা পরিষদ অভিযোগের পরে সেই সম্পত্তি নিজেদের দাবী করে আসছিলেন।
রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১২ টায় দিকে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শাহ ইমরান ও বালিয়াকান্দি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো: সাইফুল ইসলাম যৌথ ভাবে নালিশী জমির সীমানা নির্ধারণ করে।জেলা পরিষদের নালিশী জমি সাবেক ৪০৯৫ হাল ৪০৬৭ দাগে তাদের অংশ নেই বলে ফলাফলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডল বহরপুর মৌজার সাবেক ৪০৯৫ হাল ৪০৬৭ দাগ উল্লেখ্য করে কৃষি জমি দখল, মাটি ভরাট ও ফ্লিং স্টেশন নির্মাণের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করে।তিনি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ্য করেন উক্ত দাগের ৯৪ শতাংশ জমি জেলা পরিষদের রেকর্ডভক্ত।তবে বহরপুরের মৃত যোগেস কুমার কুন্ডু ছেলে স্বপন কুমার কুন্ডু জাল জালিয়াতি মাধ্যমে বিএফ রেকর্ড করে বহরপুর নতুন চর এলাকার নিয়ামত শেখ এর চার ছেলের কাছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন।তিনি অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ্য করেন জমি বিক্রেতা স্বপন কুমার কুন্ডু ওই টাকা ভারতে পাচার করেছে।
তবে জমির মালিক স্বপন কুমার কুন্ডুর অভিযোগ ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডলের বাড়ির সামনে নালিশী জমি হওয়ায় তিনি বিভিন্ন ভাবে সেটা আত্মসাতের পায় তারা চাল।একাধিকবার ওই জমিতে নিমগঞ্জ লাগানোর পাঁয়তারাও চালায়।আমি হিন্দু মানুষ হয় উপায় না পেয়ে জমিটি বিক্রি করে দেই। এখন সে কোন উপায় না পেয়ে জমিটি জেলা পরিষদের দাবী করে জেলা প্রশাসকের অভিযোগ দিয়েছে। আমি জমিটি ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি।তবে সে লিখত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় জমি বিক্রি করে সেই টাকা ভারতে পাচার করেছি!আমরা সংখ্যালঘু হয় পৈতিক সম্পত্তি বিক্রি করেও হয়রানির শিকার হচ্ছি!
ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য। তবে কেনো ওই জমিতে নিম গাছ লাগাতে গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,অনেক বছর আগে আমি রাস্তার পাশ দিয়ে গাছ লাগাতে চেয়েছিলাম তবে তারা বাধা দেওয়ায় আর লাগাই।৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা জমি আপনি কিভাবে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উল্লেখ্য করলেন এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলীলে তারা কম টাকা উল্লেখ্য করেছে। ভারতে টাকা পাচার করেছে এবিষয়ে তিনি বলেন, আমি গোপন মাধ্যমে জানতে পেরেছি স্বপন কুমার কুন্ডু জমি বিক্রির ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পাচার করেছে।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শাহ ইমরান বলেন, লিখত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা নালিশী জমি জেলা পরিষদের দাবী করেছিলাম। আজ সেটা সরেজমিনে সিমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নালিশী জমি আমাদের নয়।
বালিয়াকান্দি সহকারী কমিশনার ভূমি হাসিবুল হাসান বলেন, জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার যৌথভাবে জেলা পরিষদের ৯৪ শতাংশ জমির সীমানা নির্ধারণ করেছে।
প্রিন্ট