বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের ইসলামি তৌহিদি জনতার ওপর স্টিম রোলার চাপিয়েছিল। ইসলামি জনতা ও আলেম সমাজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীর ওপর লক্ষ লক্ষ গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। রাতের আঁধারে নির্যাতন করা হয়েছিল। তবে আলেম সমাজ ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনার মতো দানব সরকার হবে না।
বুধবার বিকেলে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাস মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে ইসকন। এছাড়া তারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই এ রকম সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকার অনুরোধ করছি। আমরা ইসকনের বিরুদ্ধে বারবার কথা বলেছি, সতর্ক করেছি। তবুও সরকার সজাগ হয়নি। তাই এবার সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। প্রশাসন দলীয়করণ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করে পেটুয়া বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিল। শেখ হাসিনা রাজনীতি শুরু করেছিল দেশকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। ৩০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুর কাজ দেখিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এরকম বড় বড় মেগা প্রকল্প থেকে দুই-তিনগুণ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন ইসকনকে লেলিয়ে দিয়ে দেশে দাঙ্গা সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা শাহ্ আকরাম আলী, অপর উপদেষ্টা শায়কুল হাদিস হেলালুদ্দীন ও আবুল হুসাইন।
এ সময় আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, মুফতী শারাফত হোসাইন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সুবহান মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুফতী মাহমুদ হাসান ফায়েক, মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতী আবু নাসির প্রমুখ।
প্রিন্ট