ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সরকারি হালটে পাকা ঘর উত্তোলণ, প্রভাব খাটিয়ে মালিকানা জমিতে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি হালটের উপর পাকা ঘর উত্তোলণ এবং পাশের মালিকানা জমিতে প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ময়েনদিয়া রুপাপাত বাজারের সড়ক সংলগ্ন কালিনগর গ্রামের কালিনগর মৌজার একটি হালট দখল করে পাকা ঘর উত্তোলণ করেছে কবির ফকির। তিনি কালিনগর গ্রামের হারেজ ফকিরের ছেলে। হালটে ঘর উত্তোলণ করে হালটের রাস্তা পাশের মালিকানাধীন মো. লাবলু ফকিরের জমিতে ঠেলে দেয়ার পায়তারা করছে।
লাবলু ফকির একই গ্রামের খালেক ফকিরের ছেলে। তিনি ৯ জুলাই তার জমির শেষ সিমানা ও হালটে পাশে পাতা বাহারী গাছ লাগাতে গেলে হারেজ ফকির পরিবারের লোকজন বাঁধসাধে।
এমনকি হুমকি ধামকি ও মেরে ফেলার ভয়ভীতি  দেয়। এ নিয়ে লাবলু ফকির বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে দু পক্ষের ও স্থানীয় লোকজন হালটের রাস্তা চাই।
মো. লাবলু ফকির বলেন, কবির ফকির সরকারি হালট দখল করে পাকা ঘর উত্তোলণ করেছে। এখন তারা প্রভাব বিস্তর করে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার জমি হালট বানিয়ে রাস্তা নিতে চাচ্ছে। আমি আমার জমিতে পাতা বাহরী গাছ লাগানোর পরে তারা সে গাছ গুলো তুলে ফেলেছে। যে কোন সময় তারা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের মারধোর করতে পারে। বর্তমানে আমরা সংশয়ে রয়েছি। তাই প্রশাসনের কাছে আমার ও পরিবারে লোকজনের নিরাপত্তা চাই।
কবির ফকিরের ভাই নাসির ফকির বলেন, গাছ লাগাতে গেলে আমার ছেলে বাঁধা দেয়। তবে সে গাছ লাগিয়ে চলে যায়। লাবলু ফকিরের বড় ভাইয়ের কাছে নালিশ করলে তিনি এসে গাছ উঠায়। আমার পরিবারের কেউ তার লাগানো গাছের পাতাও ছুঁইনি আর উঠানো তো দুরে থাক। তবে কবির ফকিরের ছোট ভাই কাবুল ফকির উত্তেজিত হয়ে নানা হুমকি ধামকি দেয় লাবলু ফিকরকে।
রুপাপাত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত তহশিলদার মো. বিষু মোল্যা বলেন, সরকারি হালট বা জমি অবৈধভাবে দখল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডহরনগর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. আইনুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি জেনেছি। তাদের দু’পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার ফাঁড়িতে বসে দুপক্ষের লোকজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে মিটমাট করে দেয়া হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সরকারি হালটে পাকা ঘর উত্তোলণ, প্রভাব খাটিয়ে মালিকানা জমিতে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
এস.এম রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি হালটের উপর পাকা ঘর উত্তোলণ এবং পাশের মালিকানা জমিতে প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ময়েনদিয়া রুপাপাত বাজারের সড়ক সংলগ্ন কালিনগর গ্রামের কালিনগর মৌজার একটি হালট দখল করে পাকা ঘর উত্তোলণ করেছে কবির ফকির। তিনি কালিনগর গ্রামের হারেজ ফকিরের ছেলে। হালটে ঘর উত্তোলণ করে হালটের রাস্তা পাশের মালিকানাধীন মো. লাবলু ফকিরের জমিতে ঠেলে দেয়ার পায়তারা করছে।
লাবলু ফকির একই গ্রামের খালেক ফকিরের ছেলে। তিনি ৯ জুলাই তার জমির শেষ সিমানা ও হালটে পাশে পাতা বাহারী গাছ লাগাতে গেলে হারেজ ফকির পরিবারের লোকজন বাঁধসাধে।
এমনকি হুমকি ধামকি ও মেরে ফেলার ভয়ভীতি  দেয়। এ নিয়ে লাবলু ফকির বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে দু পক্ষের ও স্থানীয় লোকজন হালটের রাস্তা চাই।
মো. লাবলু ফকির বলেন, কবির ফকির সরকারি হালট দখল করে পাকা ঘর উত্তোলণ করেছে। এখন তারা প্রভাব বিস্তর করে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার জমি হালট বানিয়ে রাস্তা নিতে চাচ্ছে। আমি আমার জমিতে পাতা বাহরী গাছ লাগানোর পরে তারা সে গাছ গুলো তুলে ফেলেছে। যে কোন সময় তারা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের মারধোর করতে পারে। বর্তমানে আমরা সংশয়ে রয়েছি। তাই প্রশাসনের কাছে আমার ও পরিবারে লোকজনের নিরাপত্তা চাই।
কবির ফকিরের ভাই নাসির ফকির বলেন, গাছ লাগাতে গেলে আমার ছেলে বাঁধা দেয়। তবে সে গাছ লাগিয়ে চলে যায়। লাবলু ফকিরের বড় ভাইয়ের কাছে নালিশ করলে তিনি এসে গাছ উঠায়। আমার পরিবারের কেউ তার লাগানো গাছের পাতাও ছুঁইনি আর উঠানো তো দুরে থাক। তবে কবির ফকিরের ছোট ভাই কাবুল ফকির উত্তেজিত হয়ে নানা হুমকি ধামকি দেয় লাবলু ফিকরকে।
রুপাপাত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত তহশিলদার মো. বিষু মোল্যা বলেন, সরকারি হালট বা জমি অবৈধভাবে দখল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডহরনগর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. আইনুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিষয়টি জেনেছি। তাদের দু’পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার ফাঁড়িতে বসে দুপক্ষের লোকজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে মিটমাট করে দেয়া হবে।

প্রিন্ট