ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় যুগল সৌন্দর্য দেখতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে দর্শনার্থীদের ভিড় !

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দুপাড়ে ঐতিহ্যবাহী যুগল সৌন্দর্য লালন শাহ্ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ এসে ভীড় জমাচ্ছেন। দর্শনার্থীরা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র টি কাছ থেকে দেখতে ছাছন্দবোধ করছেন। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পদ্মার দু’পাড়ে। ঈদের সরকারি ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। এখানে এসে যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।

 

ঈদের টানা ছুটিতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এলাকায়। আজকের ঈদের দিনে সকাল থেকে মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মানদী পাড়।

 

রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশী-ভেড়ামারা জোড়া সেতু প্রায় একশ’১৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি। তাই প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী দুই ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন।

 

পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদীর পুরাতন বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার, ইপিজেড ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার অপরূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র:) মাজার দেখার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখার জন্য আসছে এখানে।

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুল্লি ও উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজের অবলোকন করা যায়।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থী ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। ঈদের সরকারি ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে দেখা যায়।

 

রংপুর থেকে আসা আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে এসে একই সঙ্গে নতুন নির্মিত রূপপুর রেল ওয়ে ষ্টেশন ও পুরাতন পাকশীর নানন্দিক রেল স্টেশন ও ব্রিটিশ স্থাপনা পাকশী রেলের বিভাগীয় কার্যালয়, শতবর্ষী অসংখ্য গাছ হৃদয়কে ভরিয়ে দেয়।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা বরিশাল থেকে আসা নজরুল ইসলাম জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখলাম। সব মিলিয়ে জায়গাটি দর্শনীয় স্থান। এই জায়গাটি সরকারী ভাবে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা হলে দর্শনার্থীদের সমাগম আরও বাড়বে।

 

এখানকার প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থী আব্দুল মমিন বলেন, পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি ১শ’১৪ বছর পার হলে ও এ ব্রিজের যৌবন কমে নাই। সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি ঘুরতে এসে দেখে অবাক হলাম।

 

অজপাড়া গাঁ থেকে একবার একদল লোক এসেছিলো পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দেখতে। এতবড় ব্রীজ তারা জীবনেও কোন দিন দেখেনি। ভাবতেই পারে না কতো বড় কান্ড ঘটে গেছে পদ্মার ওপর দিয়ে। সেই সময় একজন আরশেদ আলী নামের একজন লোক অবাক চোখে হার্ডিঞ্জ ব্রীজটির দিকে তাকিয়ে বলে ছিলো দ্যাখতো কত বড় ব্রীজ ! মনে কর ৫শ টাকার নুয়াই নাগছে। ৫শ’ টাকার বেশি কল্পনা করারও ক্ষমতা ছিল না লোকগুলোর। তাদের কথা লোহার সঠিক হিসেব না পাওয়া গেলেও ব্রীজটি যে আসলেও মস্ত বড়, সেটা বোঝা যায়।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে আছে লালন শাহ সেতু। এটি দেশের তৃতীয় দীর্ঘতম সড়ক সেতু। এ সেতুর কোল ঘেঁষেই নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুল্লি ও উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজের অবলোকন করা যায়। পদ্মার পাদ দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।

 

১৯১৫ সালের ৪ মার্চ ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতু উদ্বোধনকালে সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেলস্ আবেগভরে বলেছিলেন,যে সেতু নির্মাণ করে গেলাম উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চিরযৌবনা হয়ে থাকবে। কথাটি যে কতখানি সত্য, তার প্রমাণ ১০৯ বছর আগে পদ্মা নদীর বুকে তৈরি করা এই ব্রিজটি শতবর্ষ পেরিয়ে ১১০ বছরে পদার্পণ করলেও সেতুর গায়ে বার্ধক্যের কোনো ছাপ পড়েনি। অনেক শাসক-শোষক ও প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে শতবর্ষ পেরিয়ে আজও বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।

 

মেয়াদোত্তীর্ণ এই ব্রিজটি ১১৪ বছরে পদার্পণ করলো। দিব্বি ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে।সবকিচ্ছুই ঠিক ঠাক থাকায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে নিয়োমিত ট্রেন।

 

 

১১৪ বছর আগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর বুকে তৈরি করা হয়েছিল এই ব্রিজটি। তখন পদ্মার ছিল ভরা যৌবন। পদ্মার যৌবন এখন শেষ হতে চলেছে। কিন্তু চিরযৌবনা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পদ্মার বুকে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম সেতুবন্ধ তৈরি করেছে ঐতিহাসিক এই ব্রিজটি। পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলাকে সংযুক্তকারী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ একসময়ে ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলসেতু।

 

এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলসেতু। এখনও এই ব্রিজটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ প্রতিদিনই পাকশী ও ভেড়ামারাতে আসেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় যুগল সৌন্দর্য দেখতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে দর্শনার্থীদের ভিড় !

আপডেট টাইম : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দুপাড়ে ঐতিহ্যবাহী যুগল সৌন্দর্য লালন শাহ্ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ এসে ভীড় জমাচ্ছেন। দর্শনার্থীরা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র টি কাছ থেকে দেখতে ছাছন্দবোধ করছেন। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পদ্মার দু’পাড়ে। ঈদের সরকারি ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। এখানে এসে যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।

 

ঈদের টানা ছুটিতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এলাকায়। আজকের ঈদের দিনে সকাল থেকে মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মানদী পাড়।

 

রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশী-ভেড়ামারা জোড়া সেতু প্রায় একশ’১৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি। তাই প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী দুই ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন।

 

পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদীর পুরাতন বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার, ইপিজেড ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার অপরূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র:) মাজার দেখার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখার জন্য আসছে এখানে।

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুল্লি ও উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজের অবলোকন করা যায়।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থী ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। ঈদের সরকারি ছুটির কারণে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। যে যার মতো করে ছবি, সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে দেখা যায়।

 

রংপুর থেকে আসা আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে এসে একই সঙ্গে নতুন নির্মিত রূপপুর রেল ওয়ে ষ্টেশন ও পুরাতন পাকশীর নানন্দিক রেল স্টেশন ও ব্রিটিশ স্থাপনা পাকশী রেলের বিভাগীয় কার্যালয়, শতবর্ষী অসংখ্য গাছ হৃদয়কে ভরিয়ে দেয়।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা বরিশাল থেকে আসা নজরুল ইসলাম জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখলাম। সব মিলিয়ে জায়গাটি দর্শনীয় স্থান। এই জায়গাটি সরকারী ভাবে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা হলে দর্শনার্থীদের সমাগম আরও বাড়বে।

 

এখানকার প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থী আব্দুল মমিন বলেন, পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি ১শ’১৪ বছর পার হলে ও এ ব্রিজের যৌবন কমে নাই। সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি ঘুরতে এসে দেখে অবাক হলাম।

 

অজপাড়া গাঁ থেকে একবার একদল লোক এসেছিলো পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দেখতে। এতবড় ব্রীজ তারা জীবনেও কোন দিন দেখেনি। ভাবতেই পারে না কতো বড় কান্ড ঘটে গেছে পদ্মার ওপর দিয়ে। সেই সময় একজন আরশেদ আলী নামের একজন লোক অবাক চোখে হার্ডিঞ্জ ব্রীজটির দিকে তাকিয়ে বলে ছিলো দ্যাখতো কত বড় ব্রীজ ! মনে কর ৫শ টাকার নুয়াই নাগছে। ৫শ’ টাকার বেশি কল্পনা করারও ক্ষমতা ছিল না লোকগুলোর। তাদের কথা লোহার সঠিক হিসেব না পাওয়া গেলেও ব্রীজটি যে আসলেও মস্ত বড়, সেটা বোঝা যায়।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে আছে লালন শাহ সেতু। এটি দেশের তৃতীয় দীর্ঘতম সড়ক সেতু। এ সেতুর কোল ঘেঁষেই নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুউচ্চ (৩০ তলার সমপরিমাণ উঁচু) চুল্লি ও উঁচু স্থাপনাগুলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু থেকে খুব সহজের অবলোকন করা যায়। পদ্মার পাদ দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।

 

১৯১৫ সালের ৪ মার্চ ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতু উদ্বোধনকালে সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেলস্ আবেগভরে বলেছিলেন,যে সেতু নির্মাণ করে গেলাম উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চিরযৌবনা হয়ে থাকবে। কথাটি যে কতখানি সত্য, তার প্রমাণ ১০৯ বছর আগে পদ্মা নদীর বুকে তৈরি করা এই ব্রিজটি শতবর্ষ পেরিয়ে ১১০ বছরে পদার্পণ করলেও সেতুর গায়ে বার্ধক্যের কোনো ছাপ পড়েনি। অনেক শাসক-শোষক ও প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে শতবর্ষ পেরিয়ে আজও বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।

 

মেয়াদোত্তীর্ণ এই ব্রিজটি ১১৪ বছরে পদার্পণ করলো। দিব্বি ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে।সবকিচ্ছুই ঠিক ঠাক থাকায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে নিয়োমিত ট্রেন।

 

 

১১৪ বছর আগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর বুকে তৈরি করা হয়েছিল এই ব্রিজটি। তখন পদ্মার ছিল ভরা যৌবন। পদ্মার যৌবন এখন শেষ হতে চলেছে। কিন্তু চিরযৌবনা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পদ্মার বুকে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম সেতুবন্ধ তৈরি করেছে ঐতিহাসিক এই ব্রিজটি। পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলাকে সংযুক্তকারী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ একসময়ে ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলসেতু।

 

এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলসেতু। এখনও এই ব্রিজটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ প্রতিদিনই পাকশী ও ভেড়ামারাতে আসেন।


প্রিন্ট