ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহী খাদ্যবিভাগে বস্তা কেলেঙ্কারি

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি খাদ্যগুদামে নিম্নমানের খালি বস্তা সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরেও খাদ্যবিভাগে বস্তা কেলেঙ্কারির এই খবর ছড়িয়ে পড়লে,সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ৭ লাখ খালি বস্তা সরবরাহে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বস্তা সরবরাহ করেনি। আবার যেগুলো সরবরাহ করেছে সেগুলো নিম্নমানের।

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম টেক্সটাইল অ্যান্ড জুট। এবং ৬ লাখ পিস বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে ২ লাখ ৫০ হাজার, রহনপুর খাদ্যগুদামে ১ লাখ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে ২ লাখ খালি বস্তা সরবরাহ করবে। শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করেছে। তবে এই বস্তাও ত্রুটিপূর্ণ। যে ওজনের বস্তা চাওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে ৪০ গ্রাম কম ওজনের বস্তা সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া চুক্তিপত্র পরিপন্থী বেলবিহীন লুজ অবস্থায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বস্তাগুলো কর্তৃপক্ষ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা এক লাখ বস্তার প্রায় অধিকাংশই নিম্নমানের এবং কম ওজনের হওয়ায় কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেননি। বস্তা গ্রহণ কমিটির সদস্য গোমস্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বাইরে ছিলেন। বস্তা তাঁকে না দেখিয়েই সই করার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছিল। তবে তিনি না দেখে সই করেননি।

এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বরের গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এই খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান গত সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর গুদামে হারুন অ্যান্ড সন্সের ৩০ কেজি ধারণক্ষম ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এখ পর্যন্ত সেই বস্তা সরবরাহ করা হয়নি।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদাম প্রায় দুই মাস আগে মেসার্স সিয়াম টেক্সাইল অ্যান্ড জুট থেকে এক লাখ পিস খালি বস্তা গ্রহণ করে। নির্দেশ অনুসারে সেখান থেকে ২৪ হাজার পিস বস্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়। এরপর ধরা পড়ে, বস্তাগুলো নিম্নমানের। বস্তার ওজন হওয়ার কথা ছিল ৩৩০ গ্রাম, তবে সরবরাহ করা বস্তার ওজন ২৮০ গ্রাম।

এ ছাড়া সরবরাহ করা বস্তাগুলোর বেশির ভাগ ব্যবহৃত স্টেনসিলযুক্ত। ওলটানো, ব্যবহৃত এসব বস্তায় বিভিন্ন মিলের নাম লেখা আছে। অভিযোগ, স্বল্প টাকায় এই বস্তা কিনে সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আমনুরা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন সোমবার বলেন, ‘মালগুলো সঠিক নয়।’ তিনি এ ব্যাপারে জেলা বস্তা গ্রহণ কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এদিকে বস্তা সরবরাহের শেষ সময় ছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ করেনি মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স। নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ এবং অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ না করার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হারুন অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারীর ছেলে ফয়সাল রশিদ পলক ঢাকায় তাঁদের কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবেন না।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য বিভাগ প্রতি পিস বস্তা কিনছে ৫৩ টাকায়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে পুরোনো বস্তা। ব্যবহৃত এই বস্তা ১৫ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। আবার ৩৩০ গ্রাম ওজনের বস্তার চেয়ে কম ওজনের ছোট বস্তা সরবরাহ করেও অনিয়ম করা হয়েছে। সূত্র বলছে, এরপরও খাদ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা বস্তা গ্রহণে চাপ সৃষ্টি করছেন। তাই ত্রুটিপূর্ণ বস্তা নিয়ে তদন্ত হলেও কমিটি প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। সময় পেরিয়ে গেলেও অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা আদায় করা যায়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হারুন অ্যান্ড সন্স যদি বস্তা না দিয়ে থাকে, সেটা তার লোকসান। সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। আমরা জরিমানা করে মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছি। বস্তা না দিলে সে কালোতালিকাভুক্ত হবে। তার জামানতের ১৬ লাখ টাকা সে পাবে না।’

 

ওদিকে আমনুরায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে একটি তদন্ত কমিটি গেছে। তারা এখনো প্রতিবেদন পেশ করেনি। মহাপরিচালক স্যার বলছেন, প্রতিবেদন পাওয়ার আগে তো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। প্রতিবেদনের জন্য তাদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

রাজশাহী খাদ্যবিভাগে বস্তা কেলেঙ্কারি

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি খাদ্যগুদামে নিম্নমানের খালি বস্তা সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরেও খাদ্যবিভাগে বস্তা কেলেঙ্কারির এই খবর ছড়িয়ে পড়লে,সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ৭ লাখ খালি বস্তা সরবরাহে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বস্তা সরবরাহ করেনি। আবার যেগুলো সরবরাহ করেছে সেগুলো নিম্নমানের।

খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম টেক্সটাইল অ্যান্ড জুট। এবং ৬ লাখ পিস বস্তা সরবরাহের কার্যাদেশ পায় মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে ২ লাখ ৫০ হাজার, রহনপুর খাদ্যগুদামে ১ লাখ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে ২ লাখ খালি বস্তা সরবরাহ করবে। শর্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এক লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করেছে। তবে এই বস্তাও ত্রুটিপূর্ণ। যে ওজনের বস্তা চাওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে ৪০ গ্রাম কম ওজনের বস্তা সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া চুক্তিপত্র পরিপন্থী বেলবিহীন লুজ অবস্থায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বস্তাগুলো কর্তৃপক্ষ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর খাদ্যগুদামে সরবরাহ করা এক লাখ বস্তার প্রায় অধিকাংশই নিম্নমানের এবং কম ওজনের হওয়ায় কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করেননি। বস্তা গ্রহণ কমিটির সদস্য গোমস্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বাইরে ছিলেন। বস্তা তাঁকে না দেখিয়েই সই করার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছিল। তবে তিনি না দেখে সই করেননি।

এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বরের গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এই খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান গত সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর গুদামে হারুন অ্যান্ড সন্সের ৩০ কেজি ধারণক্ষম ৫০ হাজার বস্তা দেওয়ার কথা ছিল। এখ পর্যন্ত সেই বস্তা সরবরাহ করা হয়নি।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদাম প্রায় দুই মাস আগে মেসার্স সিয়াম টেক্সাইল অ্যান্ড জুট থেকে এক লাখ পিস খালি বস্তা গ্রহণ করে। নির্দেশ অনুসারে সেখান থেকে ২৪ হাজার পিস বস্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়। এরপর ধরা পড়ে, বস্তাগুলো নিম্নমানের। বস্তার ওজন হওয়ার কথা ছিল ৩৩০ গ্রাম, তবে সরবরাহ করা বস্তার ওজন ২৮০ গ্রাম।

এ ছাড়া সরবরাহ করা বস্তাগুলোর বেশির ভাগ ব্যবহৃত স্টেনসিলযুক্ত। ওলটানো, ব্যবহৃত এসব বস্তায় বিভিন্ন মিলের নাম লেখা আছে। অভিযোগ, স্বল্প টাকায় এই বস্তা কিনে সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আমনুরা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন সোমবার বলেন, ‘মালগুলো সঠিক নয়।’ তিনি এ ব্যাপারে জেলা বস্তা গ্রহণ কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এদিকে বস্তা সরবরাহের শেষ সময় ছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ করেনি মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স। নিম্নমানের বস্তা সরবরাহ এবং অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা সরবরাহ না করার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হারুন অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারীর ছেলে ফয়সাল রশিদ পলক ঢাকায় তাঁদের কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবেন না।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য বিভাগ প্রতি পিস বস্তা কিনছে ৫৩ টাকায়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে পুরোনো বস্তা। ব্যবহৃত এই বস্তা ১৫ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। আবার ৩৩০ গ্রাম ওজনের বস্তার চেয়ে কম ওজনের ছোট বস্তা সরবরাহ করেও অনিয়ম করা হয়েছে। সূত্র বলছে, এরপরও খাদ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা বস্তা গ্রহণে চাপ সৃষ্টি করছেন। তাই ত্রুটিপূর্ণ বস্তা নিয়ে তদন্ত হলেও কমিটি প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। সময় পেরিয়ে গেলেও অবশিষ্ট পাঁচ লাখ বস্তা আদায় করা যায়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হারুন অ্যান্ড সন্স যদি বস্তা না দিয়ে থাকে, সেটা তার লোকসান। সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। আমরা জরিমানা করে মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছি। বস্তা না দিলে সে কালোতালিকাভুক্ত হবে। তার জামানতের ১৬ লাখ টাকা সে পাবে না।’

 

ওদিকে আমনুরায় নিম্নমানের বস্তা সরবরাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে একটি তদন্ত কমিটি গেছে। তারা এখনো প্রতিবেদন পেশ করেনি। মহাপরিচালক স্যার বলছেন, প্রতিবেদন পাওয়ার আগে তো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। প্রতিবেদনের জন্য তাদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

 


প্রিন্ট