আমাদের পশ্চাদগামিতা অনিবার্য হয় কেন ? 
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার 
চাকরি পেতে ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে এক নারীর নম্বর থেকে খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এ বার্তা পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে মানহানির আশঙ্কায় ও ব্যবস্থা নিতে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগে কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার টাইপিস্ট পদের নিয়োগ পরীক্ষা হবে। নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন ঘুষ প্রস্তাবের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামের এক মেয়ে উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন। ওই নম্বর থেকে মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে জোর করেন। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে প্রকাশ করলে উপাচার্যের মানহানি হবে। এ অবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত রাখা একান্ত প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, কেউ ভিসি স্যারকে ফাঁসাতেও এটা করতে পারে বা আসলেই কোনো চাকরিপ্রার্থী এটা করতে পারেন। চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দেখলে বোঝা যাবে এ নামে কেউ আছে কিনা। নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জিডি করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সকালে চাকরির বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ফোন দিলে আমি কেটে দিই। তখন একটা মেসেজ পাঠায়—‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলব না। ’ এখন দেখছি সেই মেসেজটা ডিলিট করে দিয়েছে। আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। আমি জিডি করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত বিষয়টি খুঁজে বের করতে বলেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই নারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রিন্ট
