ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না Logo দৌলতপুরে বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo চট্রগ্রামের মহানগরে জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনের গনসংযোগ Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে  ১০ রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে। বুধবার  (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের  ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল দিলে মাছগুলো ধরা পড়ে।
জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের  ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০ টা পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার  (২৭ মার্চ) সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছর গুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫ টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। পরে আবারও পাওয়া গেছে। এই বছর প্রথম ধাপে ১০ কেজি ইলিশ পাওয়া গেলো। এটা সত্যিই আনন্দের। মাছ গুলো দেখতে ভোর বেলায় মানুষের ভীড় জমে। আরও মাছ পাওয়া যাবে।
পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০ পরিবার ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে।  প্রায় সাতদিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলানো হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। জোয়ার আসলে পুকুরটিতে পানি ঢুকে যায়। আমি পানি ধরে রাখি তাই ইলিশ মাছ গুলো জীবিত থাকে। এবছর ১০০ থেকে ১২০ কেজি ইলিশ পাবো বলে ধারণা করছি।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬-৭ কেজি ইলিশ মাছ এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছ গুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন,  ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের মাছ। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এ ছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না

error: Content is protected !!

নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে  ১০ রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে। বুধবার  (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের  ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল দিলে মাছগুলো ধরা পড়ে।
জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের  ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০ টা পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার  (২৭ মার্চ) সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছর গুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫ টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। পরে আবারও পাওয়া গেছে। এই বছর প্রথম ধাপে ১০ কেজি ইলিশ পাওয়া গেলো। এটা সত্যিই আনন্দের। মাছ গুলো দেখতে ভোর বেলায় মানুষের ভীড় জমে। আরও মাছ পাওয়া যাবে।
পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০ পরিবার ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে।  প্রায় সাতদিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলানো হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। জোয়ার আসলে পুকুরটিতে পানি ঢুকে যায়। আমি পানি ধরে রাখি তাই ইলিশ মাছ গুলো জীবিত থাকে। এবছর ১০০ থেকে ১২০ কেজি ইলিশ পাবো বলে ধারণা করছি।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬-৭ কেজি ইলিশ মাছ এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছ গুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন,  ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের মাছ। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এ ছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না।